ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) বিনা টেন্ডারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে।
জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টের দিনও থেমে থাকেনি রুয়েটের গাছ কর্তনের কাজ যেখানে মুজিব আদর্শে যারা বিশ্বাস করেন তাদের সবাইকে তিনটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সবার প্রতি এ আহ্বান জানাই আমি ।
অথচ রুয়েট প্রশাসন মুখে মুজিব আদর্শের কথা বললেও সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন চলছে রুয়েটে গাছ কর্তনের কাজ, রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল মেজারমেন্ট ল্যাবের পাশে একটি পুরোনো মেহগুনি গাছের প্রায় অর্ধেক অংশ কাটার কাজ চলছিল সেই দিন । ডালপালা দুই স্থানে গচ্ছিত করে রাখা হয়েছে। শুধু গোড়া কাটলেই গাছ কাটা সম্পূর্ন হবে।
রুয়েটে ট্রেন্ডার ছাড়া একাধিক গাছ কর্তনের বিষয়টি জানতে রুয়েট ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ের দোহায় দেখিয়ে অফিস কক্ষ ত্যাগ করেন কোনরুপ উওর না দিয়ে ।
এ ব্যপারে জানতে , রুয়েটের সিকিউরিটি অফিসার মোঃ জালাল উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি আমাদের বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চলছে গাছ কাটার কাজ। সেখানে একটি ভবন নির্মান হবে বলে তিনি জানান। টেন্ডারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, টেন্ডার হয়নি। ওই গাছ দিয়ে অফিসের চেয়ার টেবিল বানানো হবে।এ নিয়ে রুয়েটের অভ্যন্তরে চলছে নানা ধরনের গুঞ্জন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রুয়েটের একাধিক কর্মচারীরা জানান, আসবাব পত্রের জন্য আলাদা ভাবে দরপত্র আহবান করা হয়। যাহা চলমান নিয়মের একটি অংশ। কর্তৃপক্ষ সরকারী গাছ কেটে নিজে আসবারপত্র তৈরী করবেন তাহলে ঠিকাদাররা কি করবে এবং তারা আরো বলেন যে শুধু একটি মেহেগুনি গাছ রুয়েটে কাঁটা হয়নি শত বছরের পূরাতন আম গাছ সহ অনেক গাছই কর্তন করেছে রুয়েট প্রশাসন ।এবং রুয়েটের কর্মরত কর্মচারীরা বলেন যে গাছ কর্তনের সাথে শাজাহান ও রাবির সার্ভেয়ার মুহাইমিনুল ইসলাম মানিক জড়িত আছেন এবং মানিকের নেতৃত্বে হয়েছে রুয়েটের ভিতরের একাধিক গাছ কর্তনের কাজ।রুয়েটে বিনা ট্রেন্ডারে গাছ কর্তনের বিষয়টি জানতে শাজাহান ও মানিকের সাথে মুঠো ফোনে যোগযোগ করা হলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান ।
এছাড়াও তারা আরও বলে যে, মানিকের সাথে রুয়েটের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সিন্ডিকেট রয়েছে। এবং নানা ধরনের অনিয়মের মধ্যে দিয়ে চলছে রুয়েট প্রশাসন। তারা বিভিন্ন নামে বেনামের লাইসিন্সে করছে টেন্ডার বানিজ্য আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে চালাচ্ছে চাকুরী বানিজ্য।
ইতিপূর্বে কিছু কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করে একাধিক স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য খুটির জোরে তারা বহাল তবিয়্যতে থেকে তাদের বানিজ্য অব্যাহত রেখেছেন।
তারা আরো বলেন, সম্প্রতী কিছু কর্মকর্তা তাদের নিজ নিজ পরিবারের একাধিক সদস্য ও আতœীয় স্বজনদের চাকুরী দিয়েছেন রুয়েটে । পাশাপাশি জামায়াত বিএনপির প্রায় ৬৫ জনের চাকুরী বানিজ্য করে হাতিয়েছেন তারা কোটি কোটি টাকা।