ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বরেন্দ্রর মিঠাপানিতে গলদা চিংড়ি চাষে বিপ্লব

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো

 

অধিক লাভজনক হওয়ায় রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের মিঠাপানিতে গলদা চিংড়ি চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মৎস্য অফিসের তত্ত্বাবধানে তৈরী করা হচ্ছে গলদা চিংড়ির লার্ভা। এই লার্ভা রাজশাহী অঞ্চলের মাছ চাষীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গলদা চিংড়ির প্রদর্শনীসহ মৎস্য অফিস ইতোমধ্যেই নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারিভাবে গলদা চিংড়ির লার্ভা উৎপাদনের পাশাপাশি মিশ্র পদ্ধতিতে গলদার চাষ করতে জেলা মৎস্য কার্যালয় চাষিদের উৎসাহ প্রদান করছে। ফলে বরেন্দ্র অঞ্চলের মিঠাপানিতে গলদার চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মৎস্য কার্যালয়ের উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়িত হলে গলদা চিংড়ি উৎপাদনে রাজশাহীতে রীতিমত বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাজশাহী জেলা মৎস অফিস সূত্রে জানা গেছে- রাজশাহী অঞ্চলে মিঠাপানিতে গলদা চিংড়ি চাষ বেশ লাভজনক করে তুলতে চিংড়ি উৎপাদনের জন্য সরকারিভাবে মাছ চাষিদের নানাভাবে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। চলতি বছর জেলার সবগুলো উপজেলায় ৩৫-৪০ জন মাছ চাষির মাধ্যমে গলদা চিংড়ি চাষের প্রদর্শণী কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। জেলায় কার্পজাতীয় মাছের সঙ্গে ৩.০৯২ হেক্টর জমিতে এই গলদা চিংড়ির চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১.২৪৭ মেট্রিকটন।

মৎস্য অফিসের ফিস সিড ম্যাল্টিপুলেশন ফার্ম ম্যানেজার ড. জিন্নাত আরা রোকেয়া চৌধুরী জানান, গলদা চিংড়ির ডিম সংগ্রহ থেকে শুরু করে পুরো নার্সিং প্রক্রিয়ায় বায়ো-সুরক্ষা বজায় রাখতে হয়। রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে ডিম থেকে লার্ভা পাওয়া যায়। লার্ভা থেকে পোস্ট লার্ভা পর্যায়ে আসতে ১১ টা স্টেপ পার করতে হয়। এ সময় ভারসাম্যযুক্ত খাদ্য, তাপমাত্রা, বায়ুচালনা এবং উপযুক্ত পানির গুণমান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। লার্ভা উৎপাদনে খাবারের ভারসাম্যটাও অত্যন্ত সুক্ষমতার সঙ্গে করা হয়। আর তাপমাত্রা ২৫-৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হয়। এর কম বা বেশি তাপমাত্রা হলেই লার্ভার মৃত্যু হার বেড়ে যায়।

জেলা মৎস অফিস সূত্র জানায়, তারা দেড় বিঘার মতো জমিতে এই গলদা হ্যাচারিতে লার্ভা উৎপাদন করছেন। সেখানে প্রায় ১ লাখ লার্ভা উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। ডিম থেকে পোস্ট লার্ভা পর্যায়ে আসতে প্রায় ২ মাস পরিচর্যা করতে হয়। লার্ভা পোস্ট লার্ভায় রুপান্তরিত হলে এটা চাষীদের নিকট সরবরাহ করা হয়। এই লার্ভা তারা মে-জুন মাসের দিকে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেছেন। ইতোমধ্যেই অনেক কৃষক কার্পজাতীয় মাছের চেয়ে গলদা চিংড়ি চাষে অধিক লাভবান হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।

পুঠিয়া উপজেলার মাছচাষী ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমি ২০১০ সাল থেকে কার্প জাতীয় মাছের সঙ্গে গলদা চিংড়ির চাষ করি। এতে অন্যান্য মাছের তুলনায় বেশি লাভজনক। আমি গত বছর ১৫ হাজার পিএল ক্রয় করেছিলাম চিংড়ির নার্সারি করেছিলাম। প্রায় মাস খানেক পর ১০ হাজার জুভেনাইল/পোনা বিক্রি করে পিএল ক্রয়ের টাকা উঠে অতিরিক্ত আরও ২০ হাজার টাকা লাভ করেছিলাম। বাকি পোনা চিংড়ি আকারে বিক্রি করে প্রায় ৯০ হাজার টাকা লাভবান হয়েছি। এবছরও প্রায় সাড়ে ১২’শ পিএল ২৫ শতক জমিতে ছেড়েছি। ইতোমধ্যেই এই পিএলগুলো জুভেনাইল/পোনা আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। আশা করছি, ১০-১৫ দিনের মধ্যে কিছু পোনা বিক্রি করতে পারবো। মিঠাপানিতেও গলদা চিংড়ি চাষ লাভবান হওয়া যায় সেই ব্যাপারে আমি আমার এলাকার মাছ চাষিদের সচেতন করছি, তাদেরকে গলদা চিংড়ি চাষের পরামর্শ দিচ্ছি।

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর বাসুদেবপুর ইউনিয়নের পাহাড় নামাজগড় গ্রামের মাছচাষি আব্দুল খালেক বলেন, আমার পুকুরে প্রায় ২৫ দিন হলো কার্প জাতীয় মাছের সঙ্গে ১ হাজার গলদা চিংড়ির পিএল ছাড়া হয়েছে। মৎস অফিস থেকে আমার পুকুরের প্রদর্শণী বানানো হয়েছে। যাতে করে অন্য চাষিরা গলদা চিংড়ি চাষের দিকে আগ্রহী হয়। মৎস অফিসের পরামর্শে আমি এই প্রথম কার্পজাতীয় মাছের সঙ্গে এই গলদা চিংড়ির পিএল পুকুরে ছেড়েছি।

পবা উপজেলার অন্তর্গত কাঠালবাড়িয়া গ্রামের আবদুস সোবাহান জানান, তিনি গলদা চিংড়ির চাষ করছেন। চাহিদা থাকায় অনেক কৃষক তার থেকে কিশোর চিংড়ি সংগ্রহ করেছেন। ছয় মাসের মধ্যে লার্ভাগুলো ১২০ থেকে ১২৫ গ্রাম হয়ে যায়। স্থানীয় বাজারে এ চিংড়ির ভালো দাম পেয়েছেন তিনি।
মৎস্য অফিসের ফিস সিড ম্যাল্টিপুলেশন ফার্ম ম্যানেজার ড. জিন্নাত আরা রোকেয়া চৌধুরী বলেন, ‘ব্যক্তি উদ্যোগে গলদার লার্ভা উৎপাদন বড় চ্যালেঞ্জ হওয়ায় আমরা সরকারিভাবে লার্ভা উৎপাদন শুরু করেছি। মৎস্য অফিসের হ্যাচারিতে ১ লাখ পিএল তৈরীর টার্গেট নিয়ে বছরের শুরুতেই কাজ শুরু করেছি। তবে গলদার পিএল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বেশকিছু রিস্ক ফেক্টর থাকে। কেননা- পিএল প্রস্তুত করতে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে লবণাক্ত পানি নিয়ে আসতে হয়। আর মাদার চিংড়ি নিয়ে আসা হয় পিরোপুর থেকে। তবে যত চ্যালেঞ্জই হোক আমরা রাজশাহীর মিঠা পানিতে গলদার চাষ বৃদ্ধিতে এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
রাজশাহী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলক কুমার সাহা বলেন, ‘রাজশাহীর মিঠাপানিতে মিশ্রণ পদ্ধতিতে (কার্পজাতীয় মাছের সঙ্গে) গলদার চাষ হচ্ছে। কেননা- মিশ্র পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষে সম্ভাবনা থাকলেও শুধু চিংড়ি চাষে রাজশাহীতে তেমন সম্ভাবনা নেই।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে কার্পজাতীয় মাছের উৎপাদন একর প্রতি গড়ে ৫৪-৭২ মণ হয়, যার আনমানিক মূল্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা। আর এই এক জমিতে যথাযথ মিশ্রন প্রক্রিয়ায় গলদার চাষ করে সাড়ে ৪ লাখ ৪০ হাজার থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

বরেন্দ্রর মিঠাপানিতে গলদা চিংড়ি চাষে বিপ্লব

আপডেট টাইম : ০৯:২৩:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো

 

অধিক লাভজনক হওয়ায় রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের মিঠাপানিতে গলদা চিংড়ি চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মৎস্য অফিসের তত্ত্বাবধানে তৈরী করা হচ্ছে গলদা চিংড়ির লার্ভা। এই লার্ভা রাজশাহী অঞ্চলের মাছ চাষীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গলদা চিংড়ির প্রদর্শনীসহ মৎস্য অফিস ইতোমধ্যেই নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারিভাবে গলদা চিংড়ির লার্ভা উৎপাদনের পাশাপাশি মিশ্র পদ্ধতিতে গলদার চাষ করতে জেলা মৎস্য কার্যালয় চাষিদের উৎসাহ প্রদান করছে। ফলে বরেন্দ্র অঞ্চলের মিঠাপানিতে গলদার চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মৎস্য কার্যালয়ের উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়িত হলে গলদা চিংড়ি উৎপাদনে রাজশাহীতে রীতিমত বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাজশাহী জেলা মৎস অফিস সূত্রে জানা গেছে- রাজশাহী অঞ্চলে মিঠাপানিতে গলদা চিংড়ি চাষ বেশ লাভজনক করে তুলতে চিংড়ি উৎপাদনের জন্য সরকারিভাবে মাছ চাষিদের নানাভাবে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। চলতি বছর জেলার সবগুলো উপজেলায় ৩৫-৪০ জন মাছ চাষির মাধ্যমে গলদা চিংড়ি চাষের প্রদর্শণী কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। জেলায় কার্পজাতীয় মাছের সঙ্গে ৩.০৯২ হেক্টর জমিতে এই গলদা চিংড়ির চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১.২৪৭ মেট্রিকটন।

মৎস্য অফিসের ফিস সিড ম্যাল্টিপুলেশন ফার্ম ম্যানেজার ড. জিন্নাত আরা রোকেয়া চৌধুরী জানান, গলদা চিংড়ির ডিম সংগ্রহ থেকে শুরু করে পুরো নার্সিং প্রক্রিয়ায় বায়ো-সুরক্ষা বজায় রাখতে হয়। রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে ডিম থেকে লার্ভা পাওয়া যায়। লার্ভা থেকে পোস্ট লার্ভা পর্যায়ে আসতে ১১ টা স্টেপ পার করতে হয়। এ সময় ভারসাম্যযুক্ত খাদ্য, তাপমাত্রা, বায়ুচালনা এবং উপযুক্ত পানির গুণমান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। লার্ভা উৎপাদনে খাবারের ভারসাম্যটাও অত্যন্ত সুক্ষমতার সঙ্গে করা হয়। আর তাপমাত্রা ২৫-৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হয়। এর কম বা বেশি তাপমাত্রা হলেই লার্ভার মৃত্যু হার বেড়ে যায়।

জেলা মৎস অফিস সূত্র জানায়, তারা দেড় বিঘার মতো জমিতে এই গলদা হ্যাচারিতে লার্ভা উৎপাদন করছেন। সেখানে প্রায় ১ লাখ লার্ভা উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। ডিম থেকে পোস্ট লার্ভা পর্যায়ে আসতে প্রায় ২ মাস পরিচর্যা করতে হয়। লার্ভা পোস্ট লার্ভায় রুপান্তরিত হলে এটা চাষীদের নিকট সরবরাহ করা হয়। এই লার্ভা তারা মে-জুন মাসের দিকে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেছেন। ইতোমধ্যেই অনেক কৃষক কার্পজাতীয় মাছের চেয়ে গলদা চিংড়ি চাষে অধিক লাভবান হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।

পুঠিয়া উপজেলার মাছচাষী ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমি ২০১০ সাল থেকে কার্প জাতীয় মাছের সঙ্গে গলদা চিংড়ির চাষ করি। এতে অন্যান্য মাছের তুলনায় বেশি লাভজনক। আমি গত বছর ১৫ হাজার পিএল ক্রয় করেছিলাম চিংড়ির নার্সারি করেছিলাম। প্রায় মাস খানেক পর ১০ হাজার জুভেনাইল/পোনা বিক্রি করে পিএল ক্রয়ের টাকা উঠে অতিরিক্ত আরও ২০ হাজার টাকা লাভ করেছিলাম। বাকি পোনা চিংড়ি আকারে বিক্রি করে প্রায় ৯০ হাজার টাকা লাভবান হয়েছি। এবছরও প্রায় সাড়ে ১২’শ পিএল ২৫ শতক জমিতে ছেড়েছি। ইতোমধ্যেই এই পিএলগুলো জুভেনাইল/পোনা আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। আশা করছি, ১০-১৫ দিনের মধ্যে কিছু পোনা বিক্রি করতে পারবো। মিঠাপানিতেও গলদা চিংড়ি চাষ লাভবান হওয়া যায় সেই ব্যাপারে আমি আমার এলাকার মাছ চাষিদের সচেতন করছি, তাদেরকে গলদা চিংড়ি চাষের পরামর্শ দিচ্ছি।

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর বাসুদেবপুর ইউনিয়নের পাহাড় নামাজগড় গ্রামের মাছচাষি আব্দুল খালেক বলেন, আমার পুকুরে প্রায় ২৫ দিন হলো কার্প জাতীয় মাছের সঙ্গে ১ হাজার গলদা চিংড়ির পিএল ছাড়া হয়েছে। মৎস অফিস থেকে আমার পুকুরের প্রদর্শণী বানানো হয়েছে। যাতে করে অন্য চাষিরা গলদা চিংড়ি চাষের দিকে আগ্রহী হয়। মৎস অফিসের পরামর্শে আমি এই প্রথম কার্পজাতীয় মাছের সঙ্গে এই গলদা চিংড়ির পিএল পুকুরে ছেড়েছি।

পবা উপজেলার অন্তর্গত কাঠালবাড়িয়া গ্রামের আবদুস সোবাহান জানান, তিনি গলদা চিংড়ির চাষ করছেন। চাহিদা থাকায় অনেক কৃষক তার থেকে কিশোর চিংড়ি সংগ্রহ করেছেন। ছয় মাসের মধ্যে লার্ভাগুলো ১২০ থেকে ১২৫ গ্রাম হয়ে যায়। স্থানীয় বাজারে এ চিংড়ির ভালো দাম পেয়েছেন তিনি।
মৎস্য অফিসের ফিস সিড ম্যাল্টিপুলেশন ফার্ম ম্যানেজার ড. জিন্নাত আরা রোকেয়া চৌধুরী বলেন, ‘ব্যক্তি উদ্যোগে গলদার লার্ভা উৎপাদন বড় চ্যালেঞ্জ হওয়ায় আমরা সরকারিভাবে লার্ভা উৎপাদন শুরু করেছি। মৎস্য অফিসের হ্যাচারিতে ১ লাখ পিএল তৈরীর টার্গেট নিয়ে বছরের শুরুতেই কাজ শুরু করেছি। তবে গলদার পিএল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বেশকিছু রিস্ক ফেক্টর থাকে। কেননা- পিএল প্রস্তুত করতে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে লবণাক্ত পানি নিয়ে আসতে হয়। আর মাদার চিংড়ি নিয়ে আসা হয় পিরোপুর থেকে। তবে যত চ্যালেঞ্জই হোক আমরা রাজশাহীর মিঠা পানিতে গলদার চাষ বৃদ্ধিতে এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
রাজশাহী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলক কুমার সাহা বলেন, ‘রাজশাহীর মিঠাপানিতে মিশ্রণ পদ্ধতিতে (কার্পজাতীয় মাছের সঙ্গে) গলদার চাষ হচ্ছে। কেননা- মিশ্র পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষে সম্ভাবনা থাকলেও শুধু চিংড়ি চাষে রাজশাহীতে তেমন সম্ভাবনা নেই।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে কার্পজাতীয় মাছের উৎপাদন একর প্রতি গড়ে ৫৪-৭২ মণ হয়, যার আনমানিক মূল্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা। আর এই এক জমিতে যথাযথ মিশ্রন প্রক্রিয়ায় গলদার চাষ করে সাড়ে ৪ লাখ ৪০ হাজার থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।’