ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

বাঘায় বিয়ের দাবিতে তিন সন্তানের জননীর অনশন

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো

 

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ৩ সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছে।

জানা যায়, উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের ৭ ওয়াডের মনিগ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ বকুল হোসেন (৪৫) এর বাড়ির সামনে ওই ৩ সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে অনশন বসে আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, বুধবার (১১ আগস্ট) বিকেল ৩ টা থেকে বকুলের বাড়ির সামনে ওই নারী অনশন বসেন।
অনশন বসা ওই নারীর জানান, গত তিন বছর ধরে বকুলের সাথে তার এই পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক এবং বকুল তাকে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে।

তিনি আরও জানান, গত এক সপ্তাহ আগে তার আগের স্বামীর বাড়ি থেকে বকুলের কথা মত চলে আসে। এই অবস্থায় তার আর অন্য কোন পথ নেই । হয় বকুল তাকে বিয়ে করবে, না হলে সে আত্মহত্যা করবে।
এদিকে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, “বকুলের ঘরে বর্তমানে স্ত্রী সহ এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এবং ওই নারীর সংসারে স্বামী সহ দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে । বকুলের নাম্বারে যোগাযোগ করলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।”

এ বিষয়ে মনিগ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হওয়ার পরে ইউপি সদসসকে ঘটনা স্থলে পাঠাই ও বাঘা থানা ওসিকে অবগত করি। পরে স্থানীয় ভাবে মিমাংসার শর্তে ওই নারিকে রাত আটটার পরে তার মা-বাবা বাড়িতে নিয়ে যায়।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। দুজনেই যেহেতু বিবাহিত সে কারনে চেয়ারম্যানকে স্থানীয় ভাবে বসে সমাধান করার কথা বলেছি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

বাঘায় বিয়ের দাবিতে তিন সন্তানের জননীর অনশন

আপডেট টাইম : ০১:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো

 

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ৩ সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছে।

জানা যায়, উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের ৭ ওয়াডের মনিগ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ বকুল হোসেন (৪৫) এর বাড়ির সামনে ওই ৩ সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে অনশন বসে আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, বুধবার (১১ আগস্ট) বিকেল ৩ টা থেকে বকুলের বাড়ির সামনে ওই নারী অনশন বসেন।
অনশন বসা ওই নারীর জানান, গত তিন বছর ধরে বকুলের সাথে তার এই পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক এবং বকুল তাকে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে।

তিনি আরও জানান, গত এক সপ্তাহ আগে তার আগের স্বামীর বাড়ি থেকে বকুলের কথা মত চলে আসে। এই অবস্থায় তার আর অন্য কোন পথ নেই । হয় বকুল তাকে বিয়ে করবে, না হলে সে আত্মহত্যা করবে।
এদিকে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, “বকুলের ঘরে বর্তমানে স্ত্রী সহ এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এবং ওই নারীর সংসারে স্বামী সহ দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে । বকুলের নাম্বারে যোগাযোগ করলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।”

এ বিষয়ে মনিগ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হওয়ার পরে ইউপি সদসসকে ঘটনা স্থলে পাঠাই ও বাঘা থানা ওসিকে অবগত করি। পরে স্থানীয় ভাবে মিমাংসার শর্তে ওই নারিকে রাত আটটার পরে তার মা-বাবা বাড়িতে নিয়ে যায়।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। দুজনেই যেহেতু বিবাহিত সে কারনে চেয়ারম্যানকে স্থানীয় ভাবে বসে সমাধান করার কথা বলেছি।