ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজশাহীতে এখনোও গাছে রয়েছে ১৫ শতাংশ আম

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো

 

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ফলে রাজশাহীতে টানা বিশেষ লকডাউন ও বিধি-নিষেধের কারণে আমের বাজারজাতকারণ নিয়ে দুশ্চিতায় ছিল সংশ্লিষ্টরা। তবে লকডাউন ও বিধি নিষেধে আমের বাজার ছিল আওতামুক্ত। এজন্য আম বাজারজাতকরণে তেমন সমস্যা হয়নি। এতো কিছু সমস্যার পরও কৃষি অধিদফতর যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। সেটা এবারও অর্জিত হয়েছে। এখনও রাজশাহীর বাগানে ১৫ শতাংশ আম গাছে ঝুলছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, রাজশাহীর বাগানগুলোতে মোট আমের ৮৫ শতাংশ গাছ থেকে পাড়া হয়ে গেছে। বাকি আছে মাত্র ১৫ শতাংশ। মূলত ফজলি, আশ্বিনা, আম্রপালি ও বারি-৪ জাতের আম এখন গাছে আছে। শেষ হয়েছে ল্যাংড়া, খিরসাপাতসহ অন্যজাতের আম। বর্তমানে ফজলি ও আম্রপালির ৫০ শতাংশ আম এখনও গাছে আছে। এছাড়া বারি-৪ এবং আশ্বিনার মাত্র ১ শতাংশ পাড়া হয়েছে।
রাজশাহী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক জেকেএম আব্দুল আওয়াল জানান, রাজশাহীতে এবার আমে যে উৎপাদন ও বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো তা প্রায় পূরণ হয়ে গেছে। এখনও কিছু আম আছে। কৃষি বিভাগ সব সময় লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কম করে নির্ধারণ করে। এতে লক্ষ্যমাত্রার পূরণ হয়ে বাড়তি থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপ-রিচালক জেকেএম আব্দুল আওয়াল আরও জানান, রাজশাহীতে আমের মোট লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর। এর প্রায় ৩৪ শতাংশ অর্থাৎ ৬ হাজার ৪৭০ হেক্টর লক্ষণভোগ। এই আমের দাম কম। একারণে রাজশাহীর বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা ৬০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এবারও সেটা অর্জন হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এখন গাছে আশ্বিনা আম আছে। রাজশাহীর অনেক আশি^না চাষিরা আমের যত্ম নেয় না। আশ্বিনা আমের প্রধান শত্রু হলো মাছি পোকা। এটা রোধ করতে আমের ব্যাগিং করতে হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতিটি গাছে গাছে এখন ব্যাগিং করা হচ্ছে। যেখানে রাজশাহীর চাষীরা অনেকে উদাসীন।

জানা গেছে, বাজারে নিরাপদ ও পরিপক্ব আম নিশ্চিত করতে এবারও গাছ থেকে নামানোর সময় বেঁধে দিয়েছিল প্রশাসন। সেই অনুযায়ী ১৫ জুন থেকে ফজলি ও আম্রপালি আম গাছ থেকে নামানো শুরু হয়। অন্যদিকে গত ইদের পর থেকে রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকে।

এ অবস্থায় গত ১১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। পরে সেটি দুই দফা বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এরপর ১ জুলাই থেকে নতুন করে সরকারি ঘোষিত দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। কৃষিপণ্য হিসাবে আম বাজারজাত করণে লকডাউনে আওতামুক্ত থাকলেও ক্রেতার অভাবে ফজলি ও আম্রপালি জাতের আম নিয়ে বিপাকে পড়েন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

নগরীর শাল বাগান এলাকার ফল ব্যবসায়ী মোশরারফ হোসেন জানান, স্থানীয় পর্যায়ে যে লকডাউন দিয়েছিল। সেইসময় অন্য জাতের আমগুলো বিক্রি করতে পেরেছি। কিন্তু সারাদেশে যে লকডাউন দিলো। তখন রাজশাহীতে ফজলি আম ভালোভাবে বাজারে উঠলো। আর বিক্রি হয় না। ঢাকা থেকে যেসব ব্যক্তিরা অর্ডার দিতো। তারাও নেয়া বন্ধ করে দিলো। তাদের ভাষ্য, এই আম আপনি রাজশাহী থেকে পাঠাবেন।
আর সেই আম ঢাকায় যেখানে পাঠাবেন। সেখান থেকে নিতে গিয়ে অনেক নাজেহাল হতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। তাই নিচ্ছি না। আবার আমাদের শাল বাগান বাজারে যে ২০টা ফলের দোকান রয়েছে। সেখানে আম আছে। কিন্তু ক্রেতা নেই। এতে করে এই ফজলি আমে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়ে গেছে। গতবার ফজলিতে ভালো দাম পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার ফজলি আমে ধরা খেলাম। সামনে দেখা যাক বাকি আমগুলো ভালোভাবে বাজারজাত করতে পারি কিনা?

বুধবার (১৪ জুলাই) নগরীর শালবাগানে একেবাবে পরিষ্কার ফজলি আম বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা মণ। আর একটু দাগ লাগা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। আম র¤্রপালি ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজারের খুচরা আম ব্যবসায়ী মো. সুমন বলেন, কাঁচা ফজলির কেজি ৩০ আর পাকাটা ২০-২৫ টাকা বিক্রি করছি। নগরীর মোল্লাপাড়া এলাকার আমবাগানের মালিক মিজানুর রহমান জানান, গাছে অর্ধেক ফজলি আম রয়েছে। কিন্তু ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে ফজলি আমের গায়ে কালো দাগ হয়ে যাচ্ছে। তাই বেশি দিন গাছে রাখা যাবে না।

কঠোর লকডাউনে রাজশাহী থেকে দূরপাল্লা গণ পরিবহন বন্ধ ছিল। সেইসাথে শহর এলাকা ফাঁকা ছিল। মানুষের যাতায়াত কম ছিল। এতে করে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফজলি আম বিক্রি করতে পারেনি বলে ব্যবসায়ীরা জানান। নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনালের এলাকায় বেশ কয়েকটি আমের দোকান রয়েছে।

তারা জানান, দূরপাল্লার বাস ও ট্রেন চলাচল করলে যাত্রীরা সাথে করে কিছু আম নিয়ে যায়। কিন্তু বন্ধ থাকায় তা এবার যাত্রীও পাওয়া যায়নি। সাথে ক্রেতাও নেই। অথচ গাছ থেকে ফজলি আম নিয়ে এসে অলস সময় পার করতে হচ্ছে। কাঁচা পণ্য, তাই ধরে রাখাও যায় না। ফলে বাধ্য হয়ে কোন ক্রেতা পেলে তাকে ক্রয়ের চেয়ে অনেক সময় কম দামে ফজলি ও আম্রপালি আম আমাদের বিক্রি করতে হয়েছে।

রাজশাহী নগরীর বহরমপুর এলাকার ফল ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন জানান, লকডাউন এর ফলে ক্রেতা না থাকায় আম পচে নষ্ট হচ্ছে। যে দামে আম কিনেছি, তার চেয়ে কম দামে বেঁচতে হচ্ছে। গত দুই দিন এক মণ আমও বেঁচতে পারিনি।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জেকেএম আব্দুল আওয়াল জানান, সারাদেশের কঠোর লকডাউনে কৃষি পণ্য পরিবহনে কোন সমস্যা হচ্ছে না। সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক। এখন পর্যন্ত কৃষি পণ্য বা আম পরিবহনে সমস্যা হয়েছে। এমন কোন অভিযোগ তারা পাননি। সুতরাং এটা বলার কোন সুযোগ নেই যে, লকডাউনের কারণে আম পরিবহনে সমস্যা হয়েছে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে লকডাউনের কারণে ক্রেতা কমেছে এটা সত্য।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

রাজশাহীতে এখনোও গাছে রয়েছে ১৫ শতাংশ আম

আপডেট টাইম : ১২:১৭:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো

 

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ফলে রাজশাহীতে টানা বিশেষ লকডাউন ও বিধি-নিষেধের কারণে আমের বাজারজাতকারণ নিয়ে দুশ্চিতায় ছিল সংশ্লিষ্টরা। তবে লকডাউন ও বিধি নিষেধে আমের বাজার ছিল আওতামুক্ত। এজন্য আম বাজারজাতকরণে তেমন সমস্যা হয়নি। এতো কিছু সমস্যার পরও কৃষি অধিদফতর যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। সেটা এবারও অর্জিত হয়েছে। এখনও রাজশাহীর বাগানে ১৫ শতাংশ আম গাছে ঝুলছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, রাজশাহীর বাগানগুলোতে মোট আমের ৮৫ শতাংশ গাছ থেকে পাড়া হয়ে গেছে। বাকি আছে মাত্র ১৫ শতাংশ। মূলত ফজলি, আশ্বিনা, আম্রপালি ও বারি-৪ জাতের আম এখন গাছে আছে। শেষ হয়েছে ল্যাংড়া, খিরসাপাতসহ অন্যজাতের আম। বর্তমানে ফজলি ও আম্রপালির ৫০ শতাংশ আম এখনও গাছে আছে। এছাড়া বারি-৪ এবং আশ্বিনার মাত্র ১ শতাংশ পাড়া হয়েছে।
রাজশাহী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক জেকেএম আব্দুল আওয়াল জানান, রাজশাহীতে এবার আমে যে উৎপাদন ও বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো তা প্রায় পূরণ হয়ে গেছে। এখনও কিছু আম আছে। কৃষি বিভাগ সব সময় লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কম করে নির্ধারণ করে। এতে লক্ষ্যমাত্রার পূরণ হয়ে বাড়তি থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপ-রিচালক জেকেএম আব্দুল আওয়াল আরও জানান, রাজশাহীতে আমের মোট লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর। এর প্রায় ৩৪ শতাংশ অর্থাৎ ৬ হাজার ৪৭০ হেক্টর লক্ষণভোগ। এই আমের দাম কম। একারণে রাজশাহীর বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা ৬০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এবারও সেটা অর্জন হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এখন গাছে আশ্বিনা আম আছে। রাজশাহীর অনেক আশি^না চাষিরা আমের যত্ম নেয় না। আশ্বিনা আমের প্রধান শত্রু হলো মাছি পোকা। এটা রোধ করতে আমের ব্যাগিং করতে হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতিটি গাছে গাছে এখন ব্যাগিং করা হচ্ছে। যেখানে রাজশাহীর চাষীরা অনেকে উদাসীন।

জানা গেছে, বাজারে নিরাপদ ও পরিপক্ব আম নিশ্চিত করতে এবারও গাছ থেকে নামানোর সময় বেঁধে দিয়েছিল প্রশাসন। সেই অনুযায়ী ১৫ জুন থেকে ফজলি ও আম্রপালি আম গাছ থেকে নামানো শুরু হয়। অন্যদিকে গত ইদের পর থেকে রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকে।

এ অবস্থায় গত ১১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। পরে সেটি দুই দফা বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এরপর ১ জুলাই থেকে নতুন করে সরকারি ঘোষিত দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। কৃষিপণ্য হিসাবে আম বাজারজাত করণে লকডাউনে আওতামুক্ত থাকলেও ক্রেতার অভাবে ফজলি ও আম্রপালি জাতের আম নিয়ে বিপাকে পড়েন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

নগরীর শাল বাগান এলাকার ফল ব্যবসায়ী মোশরারফ হোসেন জানান, স্থানীয় পর্যায়ে যে লকডাউন দিয়েছিল। সেইসময় অন্য জাতের আমগুলো বিক্রি করতে পেরেছি। কিন্তু সারাদেশে যে লকডাউন দিলো। তখন রাজশাহীতে ফজলি আম ভালোভাবে বাজারে উঠলো। আর বিক্রি হয় না। ঢাকা থেকে যেসব ব্যক্তিরা অর্ডার দিতো। তারাও নেয়া বন্ধ করে দিলো। তাদের ভাষ্য, এই আম আপনি রাজশাহী থেকে পাঠাবেন।
আর সেই আম ঢাকায় যেখানে পাঠাবেন। সেখান থেকে নিতে গিয়ে অনেক নাজেহাল হতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। তাই নিচ্ছি না। আবার আমাদের শাল বাগান বাজারে যে ২০টা ফলের দোকান রয়েছে। সেখানে আম আছে। কিন্তু ক্রেতা নেই। এতে করে এই ফজলি আমে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়ে গেছে। গতবার ফজলিতে ভালো দাম পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার ফজলি আমে ধরা খেলাম। সামনে দেখা যাক বাকি আমগুলো ভালোভাবে বাজারজাত করতে পারি কিনা?

বুধবার (১৪ জুলাই) নগরীর শালবাগানে একেবাবে পরিষ্কার ফজলি আম বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা মণ। আর একটু দাগ লাগা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। আম র¤্রপালি ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজারের খুচরা আম ব্যবসায়ী মো. সুমন বলেন, কাঁচা ফজলির কেজি ৩০ আর পাকাটা ২০-২৫ টাকা বিক্রি করছি। নগরীর মোল্লাপাড়া এলাকার আমবাগানের মালিক মিজানুর রহমান জানান, গাছে অর্ধেক ফজলি আম রয়েছে। কিন্তু ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে ফজলি আমের গায়ে কালো দাগ হয়ে যাচ্ছে। তাই বেশি দিন গাছে রাখা যাবে না।

কঠোর লকডাউনে রাজশাহী থেকে দূরপাল্লা গণ পরিবহন বন্ধ ছিল। সেইসাথে শহর এলাকা ফাঁকা ছিল। মানুষের যাতায়াত কম ছিল। এতে করে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফজলি আম বিক্রি করতে পারেনি বলে ব্যবসায়ীরা জানান। নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনালের এলাকায় বেশ কয়েকটি আমের দোকান রয়েছে।

তারা জানান, দূরপাল্লার বাস ও ট্রেন চলাচল করলে যাত্রীরা সাথে করে কিছু আম নিয়ে যায়। কিন্তু বন্ধ থাকায় তা এবার যাত্রীও পাওয়া যায়নি। সাথে ক্রেতাও নেই। অথচ গাছ থেকে ফজলি আম নিয়ে এসে অলস সময় পার করতে হচ্ছে। কাঁচা পণ্য, তাই ধরে রাখাও যায় না। ফলে বাধ্য হয়ে কোন ক্রেতা পেলে তাকে ক্রয়ের চেয়ে অনেক সময় কম দামে ফজলি ও আম্রপালি আম আমাদের বিক্রি করতে হয়েছে।

রাজশাহী নগরীর বহরমপুর এলাকার ফল ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন জানান, লকডাউন এর ফলে ক্রেতা না থাকায় আম পচে নষ্ট হচ্ছে। যে দামে আম কিনেছি, তার চেয়ে কম দামে বেঁচতে হচ্ছে। গত দুই দিন এক মণ আমও বেঁচতে পারিনি।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জেকেএম আব্দুল আওয়াল জানান, সারাদেশের কঠোর লকডাউনে কৃষি পণ্য পরিবহনে কোন সমস্যা হচ্ছে না। সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক। এখন পর্যন্ত কৃষি পণ্য বা আম পরিবহনে সমস্যা হয়েছে। এমন কোন অভিযোগ তারা পাননি। সুতরাং এটা বলার কোন সুযোগ নেই যে, লকডাউনের কারণে আম পরিবহনে সমস্যা হয়েছে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে লকডাউনের কারণে ক্রেতা কমেছে এটা সত্য।