ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার আলোচিত সেই মেয়র মুক্তার আলীকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক আরিফুল হক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৈয়ব আলী সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাঘা ওসি নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে আড়ানী বাজারে এক কলেজ শিক্ষককে মারধর করেন মেয়র মুক্তার আলী ও তার সহযোগীরা। মারধরের শিকার হয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে রাতেই থানায় মামলা করেন ওই শিক্ষক। রাতে মেয়রের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মেয়র বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এই অভিযানে বাড়ি থেকে সই করা চেক, আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও নগদ ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
এ সময় আটক করা হয় মেয়রের স্ত্রী জেসমিন বেগম এবং দুই ভাতিজা শান্ত ও সোহানকে। অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধারের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বুধবার থানায় দুটি মামলা করা হয়। শুক্রবার ভোররাতে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশি এলাকার ফুরফুরা মাজার শরীফের পেছনের গ্রাম থেকে মুক্তার আলীকে গ্রেফতার করা হয়। মুক্তারের সঙ্গে তার সহযোগী শ্যালক রজন আহম্মেদকেও গ্রেফতার করা হয়।
পরে মুক্তার আলীকে নিয়ে আড়ানী পৌরসভার পিয়াদাপাড়া মহল্লার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এক লাখ ৩২ হাজার টাকা, ফেনসিডিল, গাঁজা ও ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে আরও দুটি মামলা করে পুলিশ।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার ও শুক্রবার দায়ের করা দুটি অস্ত্র মামলায় মেয়র মুক্তারের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে মুক্তার ও তার শ্যালকের পক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। কিন্তু শুনানির সময় বিচারক জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন। এ সময় আদালত শুধু মেয়রের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারপর তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শ্যালক রজনকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।
গত বুধবার মেয়রের স্ত্রী এবং দুই ভাতিজাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন।