ঢাকা ০৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সাতক্ষীরার দেবহাটায় লকডাউনে দোকান ব্যবসায়ীরা হতাশ

মিহিরুজ্জামান , সাতক্ষীরা

 

দেশব্যাপী করোনার প্রার্দুভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করার জন্য দেশবাপী ১লা জুলাই থেকে  সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউন চলছে। এর আগে জেলা ভিত্তিক লকডাউনে দেবহাটা ব্যবসায়ীরা দোকান পাট খুলতে পারিনি।ফলে দোকান ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছে, কিভাবে নির্বাহ হবে সংসার যাত্রা ও দায় -দেনা ? দেবহাটা উপজেলা মুলত ঘের ভেঁড়ী ও ক্ষুদ্র ব্যবসার উপর নির্ভরশীল জনপদ। ২০২০ সালে করোনাসহ বিভিন্ন কারনে দোকান ব্যবসায়ীরা আশানুরুপ বেচাকেনা করতে পারিনি। ফলে জীবন যাত্রা নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। দেবহাটা অধিকাংশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ব্যাংক বা সমিতির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। ব্যবসায়ীদের যে কোন মুল্যে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হয়। কিন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠাান লক ডাউনে বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে দোকান ব্যবসায়ীরা। যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেনা-বেঁচার উপর নির্ভরশীল সেই সকল প্রতিষ্ঠান গুলি লকডাউনে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানে লগ্নীকৃত অর্থ ভাঙ্গিয়ে জীবন প্রবাহ করতে হচ্ছে এবং বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। করোনার প্রার্দুভাবে সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছে দেবহাটার দোকান ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলার ব্যবসায়ী জনপদ কুলিয়া বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল প্রতিবেদকে বলেন- লক ডাউনে দোকান খুলতে পারছি না। ফলে বেকার হয়ে পড়েছি। সংসার যাত্রা ও দায় দেনা পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত। প্রতিনিয়ত মাথার উপর ঋণের বোঝা ভারী হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতি বেশি দিন থাকলে দোকান বন্ধ করে অন্য পন্থ্যা অবলম্বন ছাড়া আর কোন পথ খোলা থাকবে না। এ বিষয়ে পারুলিয়া বাজার কমিটির সভাপতি ও ২নং পারুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদকে বলেন-  দেবহাটার মানুষ পরোক্ষ প্রত্যক্ষভাবে কোন না কোন ব্যবসার সাথে জড়িত। লক ডাউনের ফলে বিশেষ করে দোকান ব্যবসায়ীরা আশানুরুপ কেনা-বেচা  করতে পারছে না। ফলে  ব্যবসায়ীরা ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তারপরেও এই মহামারী থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমাদের সরকারের সিদ্ধান্তগুলি মেনে চলার অভ্যস্ত হতে হবে। এহেন প্ররিস্থিতিতে এ সকল দোকান ব্যবসায়ীদের যদি সল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে কিছুটা উৎজীবিত হবে এবং আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল আশা করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

সাতক্ষীরার দেবহাটায় লকডাউনে দোকান ব্যবসায়ীরা হতাশ

আপডেট টাইম : ১০:০৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১

মিহিরুজ্জামান , সাতক্ষীরা

 

দেশব্যাপী করোনার প্রার্দুভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করার জন্য দেশবাপী ১লা জুলাই থেকে  সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউন চলছে। এর আগে জেলা ভিত্তিক লকডাউনে দেবহাটা ব্যবসায়ীরা দোকান পাট খুলতে পারিনি।ফলে দোকান ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছে, কিভাবে নির্বাহ হবে সংসার যাত্রা ও দায় -দেনা ? দেবহাটা উপজেলা মুলত ঘের ভেঁড়ী ও ক্ষুদ্র ব্যবসার উপর নির্ভরশীল জনপদ। ২০২০ সালে করোনাসহ বিভিন্ন কারনে দোকান ব্যবসায়ীরা আশানুরুপ বেচাকেনা করতে পারিনি। ফলে জীবন যাত্রা নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। দেবহাটা অধিকাংশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ব্যাংক বা সমিতির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। ব্যবসায়ীদের যে কোন মুল্যে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হয়। কিন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠাান লক ডাউনে বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে দোকান ব্যবসায়ীরা। যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেনা-বেঁচার উপর নির্ভরশীল সেই সকল প্রতিষ্ঠান গুলি লকডাউনে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানে লগ্নীকৃত অর্থ ভাঙ্গিয়ে জীবন প্রবাহ করতে হচ্ছে এবং বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। করোনার প্রার্দুভাবে সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছে দেবহাটার দোকান ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলার ব্যবসায়ী জনপদ কুলিয়া বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল প্রতিবেদকে বলেন- লক ডাউনে দোকান খুলতে পারছি না। ফলে বেকার হয়ে পড়েছি। সংসার যাত্রা ও দায় দেনা পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত। প্রতিনিয়ত মাথার উপর ঋণের বোঝা ভারী হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতি বেশি দিন থাকলে দোকান বন্ধ করে অন্য পন্থ্যা অবলম্বন ছাড়া আর কোন পথ খোলা থাকবে না। এ বিষয়ে পারুলিয়া বাজার কমিটির সভাপতি ও ২নং পারুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদকে বলেন-  দেবহাটার মানুষ পরোক্ষ প্রত্যক্ষভাবে কোন না কোন ব্যবসার সাথে জড়িত। লক ডাউনের ফলে বিশেষ করে দোকান ব্যবসায়ীরা আশানুরুপ কেনা-বেচা  করতে পারছে না। ফলে  ব্যবসায়ীরা ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তারপরেও এই মহামারী থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমাদের সরকারের সিদ্ধান্তগুলি মেনে চলার অভ্যস্ত হতে হবে। এহেন প্ররিস্থিতিতে এ সকল দোকান ব্যবসায়ীদের যদি সল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে কিছুটা উৎজীবিত হবে এবং আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল আশা করেন।