ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো :
সারাদেশে করোনা সংক্রমণ রোধে জারি করা ‘কঠোর বিধিনিষেধ‘ মানার তৃতীয় দিন আজ। তবে তৃতীয়তম দিনে নানা অজুহাতে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন। তাদের ঘরে ফেরাতে রীতিমত যুদ্ধ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
(৩ জুলাই) শনিবার সকালে দেখা যায়, রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক ঘুরে দেখা যায় ফাঁকা রাস্তায় লোকজন ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন, কেউ প্রাইভেট কার নিয়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে পড়লে দিচ্ছেন নানান অজুহাত। তাদের বাহিরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে নানান অজুহাতের কথা তুলে ধরছেন। অনেক সময় অযৌক্তিক কারণ শুনে বিব্রত হচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সকাল ১০ টার দিকে সাহেব বাজারের কাঁচাবাজারে কিছুটা ভীর থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাজার মোটামুটি ফাঁকা হয়ে যায়। তবে কাঁচাবাজারে অনেকে মাস্কবিহীন কেনাকাটা করতে দেখা যায়। এছাড়াও, কিছু রিকশা, মোটর সাইকেল এবং পন্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে।
এদিকে,মূল সড়কে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করলেও। নগরীর পাড়া-মহল্লায় বের হওয়া মানুষদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি কোন বাধা ছাড়া অলিগলিতে চলছে আড্ডা।
অন্যদিকে, নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের সামনে দোকানীদের বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। কোন ক্রেতা যখন তার প্রয়োজনীয় জিনিস লাগছে ওই বিক্রেতাদের বললে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সেটি তারা বিক্রি করছেন।
রাজশাহী জিরো পয়েন্টে দায়িত্বরত সার্জেন্ট সাবিহা বলেন,মানুষ খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। যারা বের হচ্ছে আমারা প্রত্যেককের কাছে কারণ জানচ্ছি শুনছি এবং তা যাচাই বাছাই করছি। যে সমস্ত গাড়ি কঠোর বিধিনিষেধের আইন অমান্য করছেন তাদের মামলা দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২ জুলাই) লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বিনাপ্রয়োজনে বাইরে আসা এমন ৬৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন- অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফæল হক। এই ঘটনায় ৬৬টি মামলায় ৬৭ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০টি।