ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী ব্যুরো :
রাজশাহী বিভাগে বেড়েছে করোনাভাইরাস শনাক্ত। রোববার ও সোমবার রেকর্ড সংখ্যা করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়েছে। তবে কমেছে মৃতু। সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত দুইজন মারা গেছেন। আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের।
মৃত্যু কমলেও গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। পিসিআর ল্যাব, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট মেশিনে মোট ৩ হাজার ৩৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ৬০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে (শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ)। বিভাগের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এক দিনে এটাই সর্বোচ্চ। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয় ৫০২ জনের। সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় সহকারী পরিচালক নাজমা আক্তার স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নতুন ৬০৭ জন নিয়ে বিভাগে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৪৩১। নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রাজশাহী জেলার ২৭০ জন। এক দিনে জেলায় এটিই সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে নওগাঁয় ১১৯ জন। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭৫ জন, নাটোরে ৩৫ জন, জয়পুরহাটে ৬১ জন, বগুড়ায় ১৬ জন, সিরাজগঞ্জে ১৫ জন ও পাবনায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩ হাজার ৩৪৪ জনের নমুনার মধ্যে ২ হাজার ২১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে। এতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৭৭ জনের (১২ দশমিক ৫১ শতাংশ)। পিসিআর ল্যাবে ১ হাজার ৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৮৪ জনের (২৬ দশমিক ৮১ শতাংশ)। আর জিন-এক্সপার্ট মেশিনে মোট ৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৬ জনের (৬৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ)।
২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনায় মারা যাওয়া ২ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। এ নিয়ে বিভাগে করোনায় মৃত মানুষের মোট সংখ্যা ৫৯৭। এর মধ্যে ৩১৮ জন বগুড়া জেলার আর ৯৩ জন রাজশাহীর। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৬ জন, নওগাঁর ৪৫, নাটোরের ২৭, জয়পুরহাটের ১২, সিরাজগঞ্জের ২৪ ও পাবনার ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৫ জুন বিভাগে মোট ১১ জন করোনা রোগী মারা যান। এ পর্যন্ত এটাই বিভাগে এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ রোগীর সংখ্যা কমেছে। আগের দিন ৪৩৯ জনের সুস্থ হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আজকের প্রতিবেদনে নতুন ১০৬ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়। এ নিয়ে বিভাগে মোট সুস্থ হলেন ৩২ হাজার ৩৮৫ জন। বর্তমানে বিভাগের আট জেলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ হাজার ৫৫ জন। এর মধ্যে ৩৫ জন ভর্তি হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়।
সহকারী পরিচালক নাজমা আক্তার বলেন, বিভাগের সব জেলায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিভাগীয় শহর রাজশাহীতেও বিভিন্ন স্থানে চলছে এই পরীক্ষা। এতে দ্রæত পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। সংক্রমিত ব্যক্তিদের দ্রæত শনাক্ত করে আইসোলেশনে পাঠানো যাচ্ছে।