স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রিটেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ ‘ডিউক অব এডিনবারা’ খেতাবধারী এই যুবরাজের বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকালে তিনি রাজভবন উইন্ডসর ক্যাসেলে শেষ নিঃশ্বা’স ত্যাগ করেন।
ব্রিটিশ রাজ পরিবারের বাসভবন বাকিংহাম প্যালেস থেকে প্রিন্স ফিলিপের মৃ’ত্যু’র বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
রানি এলিজাবেথের ৬৯ বছরের শাসনামলে সবসময় সঙ্গী ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। রাশভারী স্বভাব এবং বিচক্ষণতা তাকে অনন্য পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এটি গভীর দুঃখজনক যে মহামান্য রানি তার ভালোবাসার স্বামী মাননীয় প্রিন্স ফিলিপ, ডিউক অব এডিনবারার মৃ’ত্যু’র খবর ঘোষণা করেছেন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘উইন্ডসর ক্যাসেলে আজ সকালে তিনি মৃ’ত্যু’বরণ করেন। এ বিষয়ে পরবর্তী ঘো’ষণা যথাযথ সময়ে জানানো হবে। তার মৃ’ত্যু’তে শোক জানাতে রাজপরিবার সারাবিশ্বের মানুষের সঙ্গে যোগ দেবে।’
১৯২১ সালের ১০ জুন গ্রিক ও ড্যানিশ রাজপরিবারে জন্ম নেয়া প্রিন্স ফিলিপ ১৯৪৭ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে বিয়ে করেন। বি’শ্বযু’দ্ধ-পরবর্তী সময়ে রাজ’তন্ত্রকে আধুনিকায়ন করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি। বাকিংহাম প্যালেসের দেয়ালের ভেতরে এলিজাবেথকে রানি হয়ে ওঠার পেছনে অন্যতম গু’রুত্ব’পূর্ণ মানুষ ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। রানির আস্থাও অর্জন করেছিলেন তিনি।
১৯৯৭ সালে ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ, সেখানে ব্যক্তিগতভাবে ফিলিপের প্রতি এক বিরল শ্র’দ্ধা’জ্ঞাপন করেছিলেন তিনি। রানি তখন বলেন, ‘তিনি বেশ সহজাতভাবে এতগুলো বছর ধরে আমার শ’ক্তি হয়ে পাশে আছেন।’
প্রিন্স ফিলিপের মৃ’ত্যু’তে শো’ক জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শোক বার্তায় তিনি বলেন, ‘তিনি (ফিলিপ) অগণিত তরু’ণকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।’
জনসন আরও বলেন, ‘তিনি রাজপরিবার ও রাজতন্ত্রকে চালিত করতে সহায়তা করেছিলেন যাতে এটি আমাদের জাতীয় জীবনের সুখ ও ভারসাম্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাকে।’