শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
সারাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে এ হতে পিছিয়ে নেই গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা নানা উন্নয়নের পাশাপাশি পলাশবাড়ী সরকারি কলেজের ৬ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। তবে এ নির্মাণ কাজ দায়সাড়া ভাবে করা হচ্ছে বলে দাবী করেছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সচেতন মহল।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজ মাঠের দক্ষিণ অংশে থাকা শহীদ মিনার স্থানে ৬ তলা একাডেমিক ভবনের কাজ শেষ ভাগে অবকাঠামো দাড়িয়েছে।
এখন চলছে ভবনের শেষ ভাগের কাজ আর কিছু দিন পরেই হয়তো নিরবে একাজ শেষের পর হস্তান্তর করা হবেবরং ডংয়ে রাঙ্গিয়ে।দেখা যায়, নির্মাণের ইট,বালু,পাথর নির্মাণাধীন ভবনের সামনেই রয়েছে।কাজ করছেন নির্মাণ শ্রমিকগণ।
এ ভবনের নির্মাণে যে পরিমাপ হওয়ার কথা তা অপূর্ন বা ত্রুটিপূর্ণ রয়েছে বলে জানা যায়।তবে কেবল পরিক্ষা নিরিক্ষা করে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানা শ্রমিকগণ।তবে নির্মাণাধীন ভবনের কাজে নির্দেশনা মূলক সাইন বোর্ড নেই কেন জানতে চাইলে বলা হয় ভবনের ভিতরে রাখা হয়েছে।এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ভবনের সামনে একটি পিলারে কাজের নোটিশ বোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন ।
গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি দেখে নির্মাণ শ্রমিকরা ময়লা আর্বজনা যুক্ত বালু পরিস্কার করা শুরু করেন। ও কাজের স্বচ্ছতার প্রমাণ দেখাতে ব্যাপক মনোযোগী হয়ে পড়েছেন।নির্মাণাধীন ভবনের চারিদিকে খালি চোখে নানা ত্রুটিপূর্ণ স্থান দৃশমান যেমন তেমনি সে সব ত্রুটিপূর্ন স্থান ডেকে দেওয়ার বিষয়টিও দৃশ্যমান।
নির্মাণ শ্রমিকগণ বলেন, একাজের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একজন ইঞ্জিনিয়ার দেখভালে দায়িত্বে রয়েছেন।তিনি গোবিন্দগঞ্জে বসবাস করেন। কোন দিন আসেন আবার কোন দিন আসেন না।
তবে তিনি প্রতিনিয়ত কাজের তদারকি করছেন।এদিকে ভবন নির্মাণের বিষয়ে কোন কিছু না বুঝলেও শুধু মাত্র কাজের বৈধতা দিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন।
যারা শুধু কমিটির মধ্যে সীমাবদ্ধ এ কাজের তদারকিতে নয়।
ভবন নির্মাণে দায়সার কাজ ও নানা অনিয়ম বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা এ বিষয়ে কোন কিছু বলতে রাজি না হওয়ায় তাদের মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি ।তবে তারা ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলার জন্য বলেন।
নোটিশ বোর্ড অনুযায়ী দেখা যায়, পাবলিক কলেজ গুলোতে শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর লক্ষে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডির্পামেন্ট মিনিস্ট্রী অফ এডুকেশন বোর্ড এর তত্বাবধাণে ৭ কোটি ৭৫ লাখ ৮২ হাজার ৩ শত ৫১ টাকা ব্যয়ে ১৮ মাসের মধ্যে সময় কালে ৬ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস মিম এন্টারপ্রাইজ, হাউজ নং – ১১ রোড নং- ৬ পিসি সার্কুলার হাউজিং সোসাইটি আদাবর ঢাকা।গত ১৪ -১০ -২০১৯ তারিখ হতে তারা কাজ শুরু অনুমতি প্রাপ্ত হয়েছে। সে হতে নিরবে তাদের দায়সারা কাজ চলছে বলে জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের শিক্ষক কর্মচারীগণ।
এবিষয়ে একাজের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট উপ সহকারি প্রকৌশলী (সিভিল) মোস্তাফিজার রহমান তিনি বলেন, সাইন বোর্ড নাই সেটা সঠিক নয় এবং কাজের সিডিউল অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, যে কাজ চলমান রয়েছে।
তবে তিনি উত্থাপিত অভিযোগ যাচাই বাছাই করার দাবী জানিয়েছেন।মিম ইন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে উক্ত কাজের দায়িত্বে থাকা মাহবুব হোসেন বলেন, আসলে একটি কাজ করতে গেলে তার বিষয়ে ভালো মন্দ নানা আলোচনা সমালোচনা থাকবে।
তবে আমাদের নির্মাণাধীন ভবন সিডিউল অনুযায়ী মানসম্পন্ন রড, সিমেন্ট,পাথর,ইট,বালু ব্যবহার করা হয়েছে।
সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে যেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষের ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা আছে যারা সব সময় তদারকি করছেন।
ভবনে নিয়মিত পানি দেওয়া হচ্ছে। যে সব অভিযোগ করা হয়েছে সে গুলো সঠিক নয় তিনি সরেজমিনে গিয়ে দেখে শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান।
এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ হতে যে কমিটি করা হয়েছে তাদের মন্তব্য নিতে গেলে তাদের না পাওয়ায় কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রাসহ কলেজের একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারীরা বলেন, নিরবে এ ভবনের কাজ হয়ে যাচ্ছে না কেউ আছে বলার বা দেখার সবাই শুধু ম্যানেজ হয়ে যায়।
কোন দিন এ কাজের কোন ত্রুটি কেই ধরলো না,মাঝে মাঝে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা আসে মোবাইলে কথা বলে ম্যানেজ হয়ে চলে যায়, কেউ এ বিষয়টি তুলে ধরে নি।
এ ভবনটি আমাদের উপজেলায় প্রথম একটি ৬ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, যেটা দায়সারা ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।তাই তারা নবনির্মিত ভবনটির সার্বিক বিষয় পরীক্ষা নিরিক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে স্থানীয় ও জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় হস্থক্ষেপ কামনা করেন।