ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

মোস্তফা আহমেদের কবর জিয়ারত করেন মাদারীপুর ১ আসনের এমপি লিটন চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার মাদারীপুরঃ

প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক (শিবচর ইউনিয়ন) মোস্তফা আহমেদ এর কবর জিয়ারত করেন মাদারীপুর ১ আসনের এমপি ও সাবেক চীপ হুইপ লিটন চৌধুরী। পারিবারিক কবরস্থানে বেলা ১১.৪০ টার সময় দোয়া মোনাজাত শেষে মোস্তফা আহমেদ এর পরিবারের সকলের সাথে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মাদারীপুর শাখার শিবচর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, গোমাল মোস্তফা আহমেদ ৬ই ডিসেম্বর, রবিবার স্টোক জনিত তার নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার ফজরের সালাত জামাতে আদায় করে ব্যবসায়ীক কাজে বের হওয়ার পর শারিরীক অসুস্হতার কারনে কাজ শেষ না হতেই বাড়িতে ফিরে আসেন।
বাড়িতে ফিরেই বিছানায় শুয়ে পরেন।
বাড়ির স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি যেতে রাজি হন নি।
কিছু সময় পর অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে শিবচর ৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ঐ দিন সকাল ১০.৩০ টায় ইসিজি করার পর তাকে মৃত ঘোষনা করে।

পরবর্তীতে তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন স্বজনরা।
ঐ দিনই আসর বাদ তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মাদারীপুর জেলাধীন শিবচর প্রশাসন।
এশা নামাজের পর তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন স্বজনরা।

এক সাক্ষাৎকারে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শিবচর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি, মোঃ ইউনুস মোল্লা জানান, ১৯৯৮ সালে মোস্তফা আহমেদ শিবচর আওয়ামীলীগ এর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। তৎকালীন সময়ে আধিপত্য বিস্তারকারী রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপি।
দীর্ঘ ২২ বছর নানা প্রতিকূলতা, অত্যাচার, নিপিড়নের মধ্যে দিয়েই সে দলকে আগলে রেখেছেন।

তিনি আরও বলেন তার সামর্থ্যের বাইরে গিয়েও আওয়ামীলীগ কে ভালোবেসে সাধারন সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘ বাইশ বছর নিঃস্বার্থ কাজ করে গেছেন।
তার ভেতরে লোভ নামক কোন বস্তু ছিলনা। তিনি যেমন ছিলেন সৎ তেমন ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। নিজের হাতেই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।

সব সময় আওয়ামী আদর্শ ধারন করেই তিনি রাজনীতি করতেন।
দলের অন্যান্য কর্মীদের সাথে তার আচরন ছিলো অত্যন্ত বিনয়ী। ছিলেন একজন সু-বক্তা। রাজনৈতিক ভাবে তার জনপ্রিয়তাও ছিলো প্রশংসনীয়। গঠনতন্ত্র মেনেই তিনি দলের সকল কাজ করতেন।

বছর খানেক আগে শারিরীক অসুস্হতার কারনে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন, যেন দল নতুন কোন নেতৃত্বে আরও এগিয়ে যেতে পারে।
এক কথায় তার রাজনৈতিক জীবন ছিলো বর্নাঢ্য।

অপর এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ আওয়ামী শিবচর উপজেলা শাখার নির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা ও পর পর দুই বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, তোফাজ্জেল সরদার জানান,
১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলার নিরস্ত্র মানুষের উপর জুলুম, অত্যাচার করেন। তখন তার বয়স ছিল ২১ বছর। তিনি ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিপক্ষে যুদ্ধ করার জন্য। তারপর সাত থানা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন খানের সাথে অনেক থানা অপারেশনে তিনি যুক্ত হয়ে বিজয়ে ছিনিয়ে নিয়ে আসেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধ ভাতা গ্রহন করতেন। তিনি আরও বলেন, প্রয়াত মোস্তফা আহমেদ ছিলেন একজন সৎ চরিত্রবান আওয়ামীলীগ নেতা।
কখনও অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন না। অপরাধ মূলক কাজ কখনও প্রশ্রয়ও দিতেন না।
অবশেষে তিনি শিবচর বাসীর পক্ষথেকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

মোস্তফা আহমেদের কবর জিয়ারত করেন মাদারীপুর ১ আসনের এমপি লিটন চৌধুরী

আপডেট টাইম : ০৭:৪১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার মাদারীপুরঃ

প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক (শিবচর ইউনিয়ন) মোস্তফা আহমেদ এর কবর জিয়ারত করেন মাদারীপুর ১ আসনের এমপি ও সাবেক চীপ হুইপ লিটন চৌধুরী। পারিবারিক কবরস্থানে বেলা ১১.৪০ টার সময় দোয়া মোনাজাত শেষে মোস্তফা আহমেদ এর পরিবারের সকলের সাথে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মাদারীপুর শাখার শিবচর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, গোমাল মোস্তফা আহমেদ ৬ই ডিসেম্বর, রবিবার স্টোক জনিত তার নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার ফজরের সালাত জামাতে আদায় করে ব্যবসায়ীক কাজে বের হওয়ার পর শারিরীক অসুস্হতার কারনে কাজ শেষ না হতেই বাড়িতে ফিরে আসেন।
বাড়িতে ফিরেই বিছানায় শুয়ে পরেন।
বাড়ির স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি যেতে রাজি হন নি।
কিছু সময় পর অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে শিবচর ৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ঐ দিন সকাল ১০.৩০ টায় ইসিজি করার পর তাকে মৃত ঘোষনা করে।

পরবর্তীতে তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন স্বজনরা।
ঐ দিনই আসর বাদ তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মাদারীপুর জেলাধীন শিবচর প্রশাসন।
এশা নামাজের পর তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন স্বজনরা।

এক সাক্ষাৎকারে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শিবচর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি, মোঃ ইউনুস মোল্লা জানান, ১৯৯৮ সালে মোস্তফা আহমেদ শিবচর আওয়ামীলীগ এর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। তৎকালীন সময়ে আধিপত্য বিস্তারকারী রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপি।
দীর্ঘ ২২ বছর নানা প্রতিকূলতা, অত্যাচার, নিপিড়নের মধ্যে দিয়েই সে দলকে আগলে রেখেছেন।

তিনি আরও বলেন তার সামর্থ্যের বাইরে গিয়েও আওয়ামীলীগ কে ভালোবেসে সাধারন সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘ বাইশ বছর নিঃস্বার্থ কাজ করে গেছেন।
তার ভেতরে লোভ নামক কোন বস্তু ছিলনা। তিনি যেমন ছিলেন সৎ তেমন ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। নিজের হাতেই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।

সব সময় আওয়ামী আদর্শ ধারন করেই তিনি রাজনীতি করতেন।
দলের অন্যান্য কর্মীদের সাথে তার আচরন ছিলো অত্যন্ত বিনয়ী। ছিলেন একজন সু-বক্তা। রাজনৈতিক ভাবে তার জনপ্রিয়তাও ছিলো প্রশংসনীয়। গঠনতন্ত্র মেনেই তিনি দলের সকল কাজ করতেন।

বছর খানেক আগে শারিরীক অসুস্হতার কারনে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন, যেন দল নতুন কোন নেতৃত্বে আরও এগিয়ে যেতে পারে।
এক কথায় তার রাজনৈতিক জীবন ছিলো বর্নাঢ্য।

অপর এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ আওয়ামী শিবচর উপজেলা শাখার নির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা ও পর পর দুই বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, তোফাজ্জেল সরদার জানান,
১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলার নিরস্ত্র মানুষের উপর জুলুম, অত্যাচার করেন। তখন তার বয়স ছিল ২১ বছর। তিনি ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিপক্ষে যুদ্ধ করার জন্য। তারপর সাত থানা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন খানের সাথে অনেক থানা অপারেশনে তিনি যুক্ত হয়ে বিজয়ে ছিনিয়ে নিয়ে আসেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধ ভাতা গ্রহন করতেন। তিনি আরও বলেন, প্রয়াত মোস্তফা আহমেদ ছিলেন একজন সৎ চরিত্রবান আওয়ামীলীগ নেতা।
কখনও অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন না। অপরাধ মূলক কাজ কখনও প্রশ্রয়ও দিতেন না।
অবশেষে তিনি শিবচর বাসীর পক্ষথেকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।