ঢাকা ০৬:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

মেহেরপুরের ঐতিহাসিক কাজলা নদী দখলের মুখে

মেহেরপুরঃ

এক সময়ের খর¯্রােতা কাজলা আজ দখলের মুখে। স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের আগ্রাসনে অনেক আগেই কাজলা হারিয়েছে তার সৌন্দর্য্য। দীর্ঘদিন ধরেই হয়নি পুনঃখনন। ফলে নাব্যতা সংকটে স্থানীয়দের কপালে আর্শিবাদের পরিবর্তে অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক কাজলা নদী। পরিবেশবীদরা বলছেন, জীব বৈচিত্রের প্রাণ ফিরাতে হলে নদীটি খনন জরুরী। নদীটি পুনর্খননের পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানালেন উপজেলা প্রশাসন।

কাজলার উৎপত্তিস্থল থেকে ভৈরব নদের সংযোগ পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দখলের ছাপ। নদীর পাড় কেটে সমতল জমি তৈরী করেছেন দখলকারীরা। খÐ খÐ অংশে এখন বোরো ধানের চারা দেয়া হয়েছে। আর কিছুদিন পরেই সেখানে বোরো ধানের চারা রোপণ করা হবে। শুধু ধান আবাদই নয় অনেক জায়গায় পুকুর খনন করা হয়েছে। আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসলের। নদীর যে অংশে সামান্য পানি রয়েছে তাতে কপুরিপানায় ভরা। এসব কারণে নদীর গতিপথও পরিবর্তন হচ্ছে। মাটি কেটে নদীর পাড় সমতল এবং আবাদী জমিতে রুপান্তরিত করায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে।

ভাটপাড়া নীলকুঠিতে ডিসি ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা হওয়ায় কাজলা নদী নিয়ে নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন স্থানীয়রা। ইকোপার্কের পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে নদীর অংশ পুনর্খনন করার ফলে সারা বছরই পানি থাকে। ছোট ছোট নৌকায় পুনর্খননকৃত অংশে চলাচল করেন দর্শনার্থীরা। এমনভাবে নদীর পুরো অংশ পুনর্খনন করা গেলে কৃষি ও মৎস্য সম্পদের জন্য বিরাট আর্শিবাদ হবে কাজলা এমনটা জানালেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীটির খনন অংশের কারণে তারা হাঁস পালন করতে পারছেন, গোসলসহ নিত্য গৃহস্থালির কাজ করতে পারছেন তারা। ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা নুরুল হুদা জানান, নদীটির চর পড়ে যাওয়ায় এলাকার অনেকেই চাষাবাদ করছেন। কাউকে কোন লীজ বা বর্গা দেয়া হয় নি। খনন করলে এটি দখলমুক্ত হবে।

সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জানান, পুনর্খনন না হওয়ায় নদীটি মৃতপ্রায়। নদীর প্রাণ ফিরিয়ে এলাকার মানুষের আর্শিবাদে পরিণত করতে পুনর্খনন জরুরী। আমরা পুনর্খননের চেষ্টা করছি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, কাজলা নদীটি ভরাট হবার কারণে পরিবেশের উপর নেতীবাচক প্রভাব পড়েছে। জীব বৈচিত্র তার ভারসাম্য হারিয়েছে। এলাকার জনগনের সমস্যা তথা কৃষি কাজের সমস্যা হচ্ছে। জীব বৈচিত্রের প্রাণ ফিরাতে ও কৃষি সমৃদ্ধশালী করতে নদী খননের প্রয়োজন। নদীটি খননের চেষ্টা চলছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

মেহেরপুরের ঐতিহাসিক কাজলা নদী দখলের মুখে

আপডেট টাইম : ০৫:৪৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১

মেহেরপুরঃ

এক সময়ের খর¯্রােতা কাজলা আজ দখলের মুখে। স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের আগ্রাসনে অনেক আগেই কাজলা হারিয়েছে তার সৌন্দর্য্য। দীর্ঘদিন ধরেই হয়নি পুনঃখনন। ফলে নাব্যতা সংকটে স্থানীয়দের কপালে আর্শিবাদের পরিবর্তে অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক কাজলা নদী। পরিবেশবীদরা বলছেন, জীব বৈচিত্রের প্রাণ ফিরাতে হলে নদীটি খনন জরুরী। নদীটি পুনর্খননের পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানালেন উপজেলা প্রশাসন।

কাজলার উৎপত্তিস্থল থেকে ভৈরব নদের সংযোগ পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দখলের ছাপ। নদীর পাড় কেটে সমতল জমি তৈরী করেছেন দখলকারীরা। খÐ খÐ অংশে এখন বোরো ধানের চারা দেয়া হয়েছে। আর কিছুদিন পরেই সেখানে বোরো ধানের চারা রোপণ করা হবে। শুধু ধান আবাদই নয় অনেক জায়গায় পুকুর খনন করা হয়েছে। আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসলের। নদীর যে অংশে সামান্য পানি রয়েছে তাতে কপুরিপানায় ভরা। এসব কারণে নদীর গতিপথও পরিবর্তন হচ্ছে। মাটি কেটে নদীর পাড় সমতল এবং আবাদী জমিতে রুপান্তরিত করায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে।

ভাটপাড়া নীলকুঠিতে ডিসি ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা হওয়ায় কাজলা নদী নিয়ে নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন স্থানীয়রা। ইকোপার্কের পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে নদীর অংশ পুনর্খনন করার ফলে সারা বছরই পানি থাকে। ছোট ছোট নৌকায় পুনর্খননকৃত অংশে চলাচল করেন দর্শনার্থীরা। এমনভাবে নদীর পুরো অংশ পুনর্খনন করা গেলে কৃষি ও মৎস্য সম্পদের জন্য বিরাট আর্শিবাদ হবে কাজলা এমনটা জানালেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীটির খনন অংশের কারণে তারা হাঁস পালন করতে পারছেন, গোসলসহ নিত্য গৃহস্থালির কাজ করতে পারছেন তারা। ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা নুরুল হুদা জানান, নদীটির চর পড়ে যাওয়ায় এলাকার অনেকেই চাষাবাদ করছেন। কাউকে কোন লীজ বা বর্গা দেয়া হয় নি। খনন করলে এটি দখলমুক্ত হবে।

সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জানান, পুনর্খনন না হওয়ায় নদীটি মৃতপ্রায়। নদীর প্রাণ ফিরিয়ে এলাকার মানুষের আর্শিবাদে পরিণত করতে পুনর্খনন জরুরী। আমরা পুনর্খননের চেষ্টা করছি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, কাজলা নদীটি ভরাট হবার কারণে পরিবেশের উপর নেতীবাচক প্রভাব পড়েছে। জীব বৈচিত্র তার ভারসাম্য হারিয়েছে। এলাকার জনগনের সমস্যা তথা কৃষি কাজের সমস্যা হচ্ছে। জীব বৈচিত্রের প্রাণ ফিরাতে ও কৃষি সমৃদ্ধশালী করতে নদী খননের প্রয়োজন। নদীটি খননের চেষ্টা চলছে।