অস্ট্রেলিয়ায় যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে ও নারীর সমতা নিশ্চিতে হাজারো নারী বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার (১৫ মার্চ) দেশটির ক্যানবেরা, সিডনি, মেলবোর্নের মত শহরগুলোসহ প্রায় ৪০টি শহরে নারীরা এই বিক্ষোভ করে।আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনায় দেশটির মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে সেখানকার রক্ষণশীল সরকার অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে রয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই এই বিক্ষোভ হলো।
অস্ট্রেলিয়ার ৪০টির বেশি শহরে ‘দ্য হ্যাশটাগ মার্চ ফর জাস্টিস’ ব্যানারে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে । সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হচ্ছে ক্যানবেরায়। দেশটির পার্লামেন্টের ভেতরে এক নারীর ওপর যৌন নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভে অভিযোগকারী ওই নারীও যোগ দেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান পর্টারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযোগ এসেছে, ১৯৮৮ সালে এক নারীকে তিনি ধর্ষণ করেছিলেন। গত সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। তবে পর্টার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সাবেক সরকারি কর্মী ব্রিটানি হিগিনস গত মাসে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালে একজন মন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সহকর্মী তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, সম্প্রতি বিরোধী লেবার পার্টির নারী সদস্যরা ফেসবুকে একটি পেজ খুলেছেন। সেখানে পুরুষ সহকর্মী ও রাজনীতিবিদদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার বিস্তারিত অভিযোগ তুলে ধরেছেন তারা।
অস্ট্রেলিয়ার সরকার পার্লামেন্টে ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পার্লামেন্টে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন ব্রিটানি হিগিনস। বিক্ষোভস্থলে তিনিও এসেছিলেন। ক্যানবেরায় বিক্ষোভকারীদের নিজের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা বলেন তিনি। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পুরো ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমাদের লড়াই করে যেতে হবে।