যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন দেশটির কয়েক হাজার মানুষ। গত সপ্তাহে খুন হওয়া ৩৩ বছর বয়সী নারীর স্মরণে লন্ডনের ক্লেপহাম কমনে জড়ো হয় তারা। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইউএস নিউজ।
সূত্রে জানা যায়, লন্ডনে করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায়। সারাহ ইভারার্ড নামে ৩৩ বছর বয়সী ওই নারী বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার পথে গত ৩ মার্চ নিখোঁজ হন। তাকে সর্বশেষ দক্ষিণ লন্ডনের ক্লেপহাম কমনে দেখা গিয়েছিলো। লন্ডনের এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সারাহ অপহরণ ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ইউএস নিউজ জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ মার্চ) ভোর থেকেই সারাহকে শ্রদ্ধা জানাতে ক্লেপফাম ফকমনের ব্যাসস্ট্যান্ডে ফুল ও মোমবাতি নিয়ে হাজির হন কয়েক হাজার মানুষ। কারণ নিখোঁজ হওয়ার আগে সর্বশেষ সেখানেই দেখা গিয়েছিলো তাকে। এসময় উপস্থিত পুলিশের উদ্দেশ্যে বিক্ষোভকারীরা এটা ‘আপনাদের জন্য লজ্জা’ বলে শ্লোগান দিতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে রয়টার্স জানায়, ক্লেপহাম কমনে গণজমায়েত বাড়তে থাকলে পুলিশ সেখান থেকে নারীদের সরিয়ে দিতে শুরু করে। তারা কত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেনি।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেন, পুলিশের প্রতিক্রিয়া যথাযথ ও সময় উপযোগী ছিল না। এ বিষয়ে ক্রেসিডা ডিকের জরুরি ব্যাখ্যা চাইবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল জানান, এ বিপর্যয়কর ঘটনার জন্য পুলিশের কাছ থেকে উত্তর চাইবেন।
এর আগে শনিবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছিলেন যে তিনি ও ক্যারি সাইমন্ডস ইভারার্ডের স্মরণে মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। তিনি নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলে জানান। পুলিশ গত বুধবার তল্লাশি চালিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডন থেকে ৫০ মাইল দূরে উডল্যান্ড থেকে সারাহ ইভারার্ডের লাশ উদ্ধার করে।
এই হত্যাকাণ্ড যুক্তরাজ্যকে হতবাক করেছে। বিশ্ব জুড়ে আবারও নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বহু নারী ও মেয়ে পুরুষদের দ্বারা হয়রানির শিকার হওয়ার কাহিনী সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ জানানো শুরু করে।