গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ভূগর্ভের রাষ্ট্রীয় খনিজ সম্পদ বালু উত্তোলনে উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলেও উপজেলার ৮ নং ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে দীর্ঘদিন থেকে থেমে নেই বালু উত্তোলন। ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বজরা হলদিয়া ও হাতিয়া মৌজায় কয়েক জন, পেশাদার বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন থেকে মেশিন দ্বারা ভূগর্ভের রাষ্ট্রীয় খনিজ সম্পদ বালু অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে ফায়দা লুটছে।
উত্তোলনকারী ব্যবসায়ীগণ হচ্ছে, মোঃ সাজু মিয়া, পিতা মোঃ নছিরল, গ্রাম হাতিয়া, মোঃ রাজু মিয়া, পিতা মোঃ নছিরল গ্রাম হাতিয়া, মোঃ খুশী মিয়া, গ্রাম বজরা হলদিয়া, মোঃ বকুল মিয়া, গ্রাম বজরা হলদিয়া, মোঃ ইউসুফ আলী, গ্রাম বজরা হলদিয়া, অবিয়াল মিয়া, গ্রাম বজরা হলদিয়া, বাদশা।
এ সকল ব্যবসায়ীর মেশিন কয়েক বার প্রশাসনের হাতে যব্ধ হলেও থেমে নেই তাদের অবৈধ ব্যবসা।এমনকি ভূগর্ভের রাষ্ট্রীয় খনিজ সম্পদ বালু উত্তোলনে লড়াই চালিয়ে আজ পর্যন্ত ঐ সকল ব্যবসায়ী অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন চলমান রেখে ব্যবসা করেই আসছেন। স্থানীয় সচেতন নাগরিক মহলের দ্বাবী এই সকল ব্যবসায়ীদের দমন করা না গেলে, দিন দিন ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।জন-সাধারণের চলাচলের গ্রামীণ রাস্তার অবস্থা নাজেহালে পরিনত করেছেন অবৈধ বালু বহন কারী টলি ও কাঁকড়া।
দীর্ঘদিন থেকে প্রশাসনের নজর দ্বারী বৃদ্ধি হলেও, নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে, অবৈধ বালু উত্তোলন কারী ব্যবসায়ীগণ, তাঁরা আগের মতো দিনের বেলা ভূগর্ভের রাষ্ট্রীয় খনিজ সম্পদ বালু আর উত্তোলন করে না।
তাঁরা এখন রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করে তাদের অবৈধ ব্যবসা চলমান রেখেছেন।তাই রাষ্ট্রীয় খনিজ সম্পদ বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য প্রশাসন-কে নতুন কৌশল অবলম্বন করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করতে হবে।উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে, সকল ব্যবসায়ীর বালু উত্তোলন মেশিন উপজেলা প্রশাসনের অফিসে জমা দেয়ার জন্য উদ্দ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তাহলেই দ্রুত রাষ্ট্রীয় খনিজ সম্পদ বালু রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন নাগরিক মহল।কয়েক জন বালু ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে, তারা উপজেলা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমাদের নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা না হলে, কি ভাবে পরিবার চালাবো আমরা। আমাদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ ও ব্যবস্থা তৈরি করে দেয়া হলে, আমরা আর অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ব্যবসা করবো না, বলে জানান তাঁরা।