আলোর জগত ডেস্ক: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় রিমান্ড প্রাপ্ত আর্মড ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নিয়েছে তদন্তকারি সংস্থা র্যাব। আজ শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাদের কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে বের করে র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়।তারা হলেন- আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-পরিদর্শক শাহাজাহান, কনস্টেবল রাজিব ও আব্দুল্লাহ। এরা তিনজনই ৩১জুলাই রাতে শামলাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিলেন। এর আগে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে তাদের সদর হাসপাতাল নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মোকাম্মেল হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর একটি দল এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাবাসাদের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়েছে। আদালতের আদেশে এই তিন সদস্যকে র্যাব নিয়ে যায়।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ তাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। তার আগের দিন সোমবার রাত ১০টার দিকে তাদের আটকের পর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১৫ (র্যাব) এর কক্সবাজার কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে তাদের মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
প্রসঙ্গ, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো: রাশেদ। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।
ওই ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামি র্যাব হেফাজতে রয়েছে। অন্য চার পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী রিমান্ড শেষে এখন কারাগারে রয়েছে। সর্বশেষ গত ২১ আগস্ট সিনহাকে গুলি করার ঘটনা প্রত্যক্ষভাবে সরেজমিন দেখতে এবং ঘটনার বিবরণ জানতে রিমান্ডে থাকা ওসি প্রদীপ, পরির্দশক লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিততে নিয়ে শামলাপুরে যায় তদন্তকারি সংস্থা র্যাব।