ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

ইসরাইল-আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সমঝোতায় পৌঁছেছে। সে লক্ষ্যেঐ এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ও ট্রাম্প এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের আশা এই বিরাট ঐতিহাসিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রগতিকে এগিয়ে নেবে। চুক্তির আওতায় ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরের বিশাল অঞ্চলে বসতি স্থাপন স্থগিত করবে। ট্রাম্পের ঘোষণার পর নেতানিয়াহু টুইটারে দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি ছিল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি কূটনৈতিক জয়। তিনি আরও বলেছেন, উত্তেজনা নিরসনে এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আরব-ইসরায়েল সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতার ঘোষণার পর ইসরায়েল ও আরবের মধ্যে এটি তৃতীয় চুক্তি। এর আগে মিসর ১৯৭৯ সালে ও জর্ডান ১৯৯৪ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত উপসাগরীয় কোনও আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব মোকাবিলায় ইসরায়েলের সঙ্গে এসব দেশের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

ইসরাইল-আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি

আপডেট টাইম : ০৮:৪০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অগাস্ট ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সমঝোতায় পৌঁছেছে। সে লক্ষ্যেঐ এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ও ট্রাম্প এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের আশা এই বিরাট ঐতিহাসিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রগতিকে এগিয়ে নেবে। চুক্তির আওতায় ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরের বিশাল অঞ্চলে বসতি স্থাপন স্থগিত করবে। ট্রাম্পের ঘোষণার পর নেতানিয়াহু টুইটারে দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি ছিল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি কূটনৈতিক জয়। তিনি আরও বলেছেন, উত্তেজনা নিরসনে এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আরব-ইসরায়েল সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতার ঘোষণার পর ইসরায়েল ও আরবের মধ্যে এটি তৃতীয় চুক্তি। এর আগে মিসর ১৯৭৯ সালে ও জর্ডান ১৯৯৪ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত উপসাগরীয় কোনও আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব মোকাবিলায় ইসরায়েলের সঙ্গে এসব দেশের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রয়েছে।