বিনোদন ডেস্ক: অনেক দিন বড়পর্দা থেকে দূরে থাকলেও পূর্ণিমাকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। দিন দিন যেন গ্ল্যামারাস এই নায়িকার ভক্ত বাড়ছে! আজ শনিবার তার জন্মদিন। আর প্রথম প্রহর থেকে ভাসছেন শুভেচ্ছা ও ভালোবাসার নানামাত্রিক প্রকাশে।
জানা গেছে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পারিবারিক আবহে বিশেষ এ দিনটি পালন করবেন তিনি। পূর্ণিমার প্রথম ছবি জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায়। সেখানে নায়ক হিসেবে পেয়েছিলেন সেই সময়ের হার্টথ্রব রিয়াজকে। ছবি ব্যবসাসফল হলেও পূর্ণিমাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অবশ্য এর আগে শিশুশিল্পী হিসেবে ‘ঘায়েল’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে পূর্ণিমাকে পুরোপুরি লাইমলাইটে আনে শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘যোদ্ধা’।
পূর্ণিমা চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ১৯৮১ সালের ১১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। কৈশোরে চলে আসেন ঢাকায়। সমসাময়িক প্রথম সারির প্রায় সব নায়কের সঙ্গে অভিনয় করেন পূর্ণিমা। তবে রিয়াজের সঙ্গে তার রসায়ন একদমই আলাদা। তারা এ জীবন তোমার আমার, নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি, মনের মাঝে তুমি, আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা, হৃদয়ের কথা, বাধা, শাস্তি, খবরদার, শ্বশুর জামাই ছবিতে অভিনয় করেন। এ ছাড়া মান্নার সঙ্গে ছিল নায়িকার ভালো বোঝাপড়া। তারা সুলতান, ধোঁকা, উল্টাপাল্টা ৬৯, মনের সাথে যুদ্ধ-সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দেন।
ব্যক্তিজীবনে ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পূর্ণিমা। ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল কন্যাসন্তান আরশিয়া উমাইজার জন্ম দেন তিনি। মূলত বিয়ের পরই সিনেমা থেকে সরে আসেন পূর্ণিমা। তবে টিভি পর্দায় প্রতিটি বিশেষ উপলক্ষে তাকে চোখে পড়ে। বিজ্ঞাপন ও মঞ্চ উপস্থাপনই সরব বরাবরই। অবশ্য চলচ্চিত্রে শীর্ষ থাকা অবস্থায়ও টিভিতে অভিনয় করেছেন।
কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিলো না’ ছবির জন্য পূর্ণিমা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। এ ছাড়া পেয়েছেন মেরিল তারকা জরিপসহ বেশ কিছু স্বীকৃতি।
সম্প্রতি দীর্ঘ বিরতি শেষে সিনেমা ফিরেছেন তিনি। পূর্ণিমার হাতে রয়েছে ‘জ্যাম‘ ও ‘গাঙচিল’। বিপরীতে আছেন যথাক্রমে আরিফিন শুভ ও ফেরদৌস। দুটি সিনেমার কাজ প্রায় শেষ।