আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোর জন্য ৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের জরুরি আর্থিক সহায়তা দেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিলটি সিনেটে ওঠার কথা রয়েছে। রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে খুব সহজেই বিলটি পাস হবে বলে আশা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শুধু নিজেদের দেশের জন্যই নয়, করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশসহ ২৫টি দেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার অর্থায়নেরও ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা ইউএসএআইডির সংক্রামক রোগবিষয়ক জরুরি রিজার্ভ তহবিল থেকে এ অর্থায়ন করা হবে।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘উন্নয়নশীল ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো এ অর্থের মাধ্যমে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকাণ্ড জোরদার করতে সক্ষম হবে।’ এর বাইরে চলতি সপ্তাহেই দরিদ্রতম দেশগুলোর জন্য বিনা সুদে ১০ বছরের জন্য প্রায় ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য কম সুদে ৫ বছরের জন্য প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলার ঋণ সহজলভ্য থাকবে বলেও জানায় আইএমএফ।
বরাবরের মতোই দেশের সুরক্ষার পাশাপাশি মহামারীর ঝুঁকিতে থাকা বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি দেশের সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ঢাকায় এক বিবৃতিতে মার্কিন দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অন্যান্য বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান এবং ইউএসএআইডির কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী অংশীদারদের পরিচালিত প্রকল্পের জন্য এ তহবিল দিচ্ছে। সহায়তার জন্য ঘোষিত দেশগুলো হচ্ছে- আফগানিস্তান, অ্যাঙ্গোলা, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, কাজাখস্তান, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তাজিকিস্তান, ফিলিপাইন, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ইথিওপিয়া, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।
ধসে পড়া অর্থনীতির উন্নয়ন ও ঝুঁকি মোকাবেলায় আইএমএফের বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা হবে বলে জানান, আইএমএফ প্রধান। এর আগে বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছে আইএমএফ।