ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

দুঃসময়ে সাহায্য করে বীমা: প্রধানমন্ত্রী

আলোর জগত ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীমার মাধ্যমে দুঃসময়ে বেশ ভালোই সাহায্য পাওয়া যায়। বীমার বিষয়ে জনসচেতনতা জরুরি। বীমার প্রতি মানুষের আগ্রহ রয়েছে। আজ রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সে হিসেবে আমরা বীমা পরিবারের একজন সদস্য। যেহেতু পাকিস্তানি শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতি করতে দিতেন না, সে কারণে তিনি আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ইন্স্যুরেন্স কন্ট্রোলার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রচারণা চালাতে সারাদেশব্যাপী তাকে ঘুরতে হয়। সে সুবাদে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বীমার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন বলেই এ বিষয়ে তিনি ১৯৭৩ সালে আইন প্রণয়ন করেছিলেন। এছাড়া তিনি ইন্স্যুরেন্স একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি বলেন, বীমার মাধ্যমে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। বীমা একাডেমিতে লেখাপড়া করে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হতে পারে। বীমার প্রসারের জন্য আমরা যুগোপযোগী আইন করেছি। আমরা ‘বীমা আইন ২০১০’, ‘বীমা উন্নয়ন আইন ২০১০’ ও ‘বীমা নীতিমালা ২০১৪’ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীমাকে আমরা জনগণের দোরগোড়ায় অর্থাৎ গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি। শিক্ষাবীমা, শস্যবীমা, স্বাস্থ্যবীমা, গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বীমা করা যেতে পারে। যে বীমার মাধ্যমে দুঃসময়ে গরিব মানুষগুলো বিরাট সাফল্য পাবে। ‘বীমা দিবসে শপথ করি, উন্নত দেশ গড়ি’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে রোববার দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় বীমা দিবস।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বীমা খাতে যোগদানের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআর) অনুরোধে ১ মার্চকে ‘জাতীয় বীমা দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

দুঃসময়ে সাহায্য করে বীমা: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০১:২৮:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ মার্চ ২০২০

আলোর জগত ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীমার মাধ্যমে দুঃসময়ে বেশ ভালোই সাহায্য পাওয়া যায়। বীমার বিষয়ে জনসচেতনতা জরুরি। বীমার প্রতি মানুষের আগ্রহ রয়েছে। আজ রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সে হিসেবে আমরা বীমা পরিবারের একজন সদস্য। যেহেতু পাকিস্তানি শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতি করতে দিতেন না, সে কারণে তিনি আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ইন্স্যুরেন্স কন্ট্রোলার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রচারণা চালাতে সারাদেশব্যাপী তাকে ঘুরতে হয়। সে সুবাদে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বীমার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন বলেই এ বিষয়ে তিনি ১৯৭৩ সালে আইন প্রণয়ন করেছিলেন। এছাড়া তিনি ইন্স্যুরেন্স একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি বলেন, বীমার মাধ্যমে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। বীমা একাডেমিতে লেখাপড়া করে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হতে পারে। বীমার প্রসারের জন্য আমরা যুগোপযোগী আইন করেছি। আমরা ‘বীমা আইন ২০১০’, ‘বীমা উন্নয়ন আইন ২০১০’ ও ‘বীমা নীতিমালা ২০১৪’ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীমাকে আমরা জনগণের দোরগোড়ায় অর্থাৎ গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি। শিক্ষাবীমা, শস্যবীমা, স্বাস্থ্যবীমা, গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বীমা করা যেতে পারে। যে বীমার মাধ্যমে দুঃসময়ে গরিব মানুষগুলো বিরাট সাফল্য পাবে। ‘বীমা দিবসে শপথ করি, উন্নত দেশ গড়ি’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে রোববার দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় বীমা দিবস।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বীমা খাতে যোগদানের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআর) অনুরোধে ১ মার্চকে ‘জাতীয় বীমা দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার।