ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে পেনাল্টি বঞ্চিত হয় জেমি ডে’র শিষ্যরা। এরপর দুই দলের লড়াই ছিল সমানে সমান। দুর্দান্ত খেলেছেন লাল সবুজের ডিফেন্ডাররা। গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাও বেশ কয়েকটি সেভ করেন। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে তো ভারতের ডানদিক থেকে নেয়া শট এক হাতে বারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন রানা, যেটি চোখের পলকে গোল হয়ে যেতে পারতো।
ম্যাচের ৪২ মিনিটে সল্টলেক স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক বক্সের মধ্যে পেয়ে হেডে গোল দেন সাদ। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুর্দান্ত খেলা দেখিয়েছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ৫১তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন জীবন। সোহেল দারুণ ড্রিবলের পর কাট করে বল পাঠিয়েছিলেন বক্সের ভেতরে থাকা জীবনের পায়ে। কিন্তু তার শট প্রতিহত হয়। ৬০তম মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল ভারতও। থাপার কর্নার কিকে হেড নিয়েছিলেন আনাস। কিন্তু গোল লাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন ইব্রাহীম।
৭৩তম মিনিটে স্বাগতিকদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন জীবন। ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে ভারতীয় গোলরক্ষক গুরপ্রীতের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করেছিলেন তিনি। ম্যাচের ৮৮তম মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে স্পষ্ট আধিপত্য ছিল বাংলাদেশের। আক্রমণ আর রক্ষণে দুর্দান্ত খেলেছেন জামাল ভূঁইয়া আর ইয়াসিন। ব্র্যান্ডনের কর্নার কিকে রকেট গতির হেড করেছিলেন আদিল, ঠেকানোর কোনো সুযোগই ছিল না আশরাফুলের হাতে।