আলোর জগত ডেস্কঃ রাজধানীর রমনা থানার মাদক ও অস্ত্র আইনে দায়ের করা দুই মামলায় যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আরো পড়ুন: সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে ৪ জলদস্যু নিহত
একই সঙ্গে মাদক মামলায় যুবলীগের এই শাখার বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকে ৫ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাদী ও আসামি পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়।
এদিকে সম্রাটকে আদালতে তোলার খবর প্রকাশিত হলে, তাকে একনজর দেখতে সকাল থেকেই আদালত চত্বরে ভিড় করেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় তারা সম্রাটের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সড়কসংলগ্ন ফটক ও ভবনের মূল ফটকে অবস্থান করছেন এসব কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ মূল গেইটের সামনে থেকে তাদেরকে সরিয়ে দিতে চাইলেও তারা সেখানেই অবস্থান করেন।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের এবং আরমানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ওই দিন সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
সম্রাটের মহযোগী আরমানকে ইতিমধ্যে মাদকদ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তবে রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। দুজনের রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেফতার করা হয়। আরমান মদ্যপ অবস্থায় থাকায় তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়। আর সম্রাটকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
এরপর ওই দিনই সম্রাটের কার্যালয় রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালায় র্যাব। উদ্ধার করা হয় এক হাজার পিস ইয়াবা ও সংরক্ষণের আড়াই হাজার জিপার প্যাকেট। সম্রাটের কক্ষে একটি লাগেজ থেকে ১৯ বোতল মদ, একটি বিদেশি পিস্তল এবং পাঁচ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়।
ওই দিন সন্ধ্যায় র্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।