ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী আজ

আলোর জগত ডেস্ক :  বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালে আজকের এই দিনে করাচির মশরুর বিমানঘাঁটিতে শিক্ষার্থী মিনহাজ রশীদের কাছ থেকে টি-৩৩ প্রশিক্ষণ বিমান করায়ত্তে নিয়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা করেন। এ সময় ভারতীয় সীমান্তের ৩৫ মাইল দূরে থাট্টায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তার মৃত দেহ ঘটনাস্থলে থেকে প্রায় আধ মাইল দূরে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে মিনহাজ রশীদের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন :  বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো গভীর হবে, বললেন জয়শঙ্কর

১৯৪১ সালের ২৯ নভেম্বর জন্ম নেওয়া মতিউর ১৯৬৭ সালের ২১ জুলাই একটি মিগ-১৯ বিমান চালানোর সময় আকাশে সেটা হঠাৎ বিকল হয়ে গেলে অপূর্ব দক্ষতায় প্যারাস্যুটযোগে মাটিতে অবতরণ করেন।

এ সময় ইরানের রানী ফারাহ দিবার সম্মানে পেশোয়ারে যে বিমান মহড়ার অনুষ্ঠিত হয়, তাতে তিনিই একমাত্র বাঙালি পাইলট ছিলেন।

১৯৬১ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ১৯৬৩ সালে রিসালপুর পিএএফ কলেজ থেকে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। কমিশনপ্রাপ্তির পর তিনি করাচির মৌরিপুর (বর্তমান মাসরুর) এয়ার বেজের ২ নম্বর স্কোয়াড্রনে জেনারেল ডিউটি পাইলট হিসেবে নিযুক্ত হন। এখানে তিনি টি-৩৩ জেট বিমানের ওপর কনভার্সন কোর্স সম্পন্ন করেন।

মুক্তিযুদ্ধে মতিউরের অসম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ জাতীয় খেতাব ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মতিউর রহমান ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী আজ

আপডেট টাইম : ০২:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :  বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালে আজকের এই দিনে করাচির মশরুর বিমানঘাঁটিতে শিক্ষার্থী মিনহাজ রশীদের কাছ থেকে টি-৩৩ প্রশিক্ষণ বিমান করায়ত্তে নিয়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা করেন। এ সময় ভারতীয় সীমান্তের ৩৫ মাইল দূরে থাট্টায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তার মৃত দেহ ঘটনাস্থলে থেকে প্রায় আধ মাইল দূরে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে মিনহাজ রশীদের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন :  বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো গভীর হবে, বললেন জয়শঙ্কর

১৯৪১ সালের ২৯ নভেম্বর জন্ম নেওয়া মতিউর ১৯৬৭ সালের ২১ জুলাই একটি মিগ-১৯ বিমান চালানোর সময় আকাশে সেটা হঠাৎ বিকল হয়ে গেলে অপূর্ব দক্ষতায় প্যারাস্যুটযোগে মাটিতে অবতরণ করেন।

এ সময় ইরানের রানী ফারাহ দিবার সম্মানে পেশোয়ারে যে বিমান মহড়ার অনুষ্ঠিত হয়, তাতে তিনিই একমাত্র বাঙালি পাইলট ছিলেন।

১৯৬১ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ১৯৬৩ সালে রিসালপুর পিএএফ কলেজ থেকে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। কমিশনপ্রাপ্তির পর তিনি করাচির মৌরিপুর (বর্তমান মাসরুর) এয়ার বেজের ২ নম্বর স্কোয়াড্রনে জেনারেল ডিউটি পাইলট হিসেবে নিযুক্ত হন। এখানে তিনি টি-৩৩ জেট বিমানের ওপর কনভার্সন কোর্স সম্পন্ন করেন।

মুক্তিযুদ্ধে মতিউরের অসম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ জাতীয় খেতাব ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মতিউর রহমান ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে ছিলেন।