ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

পাকিস্তানে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের কোয়েটায় এক মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২৫ জন। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় এই ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় মসজিদের ইমাম নিহত হয়েছেন।

আরো পড়ুন :  পাবনায় গণপিটুনিতে ২ ‘চরমপন্থী’ নিহত

পুলিশ জানিয়েছে, এটি একটি টাইম বোমা ছিল। এটি ইমামের বসার চেয়ারের নিচে রাখা হয়। ইমাম যখন বক্তৃতা দেওয়া শুরু করেন তখনই বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটে।

ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নিহত ইমামের নাম হাফিজ হামদুল্লাহ। তিনি তালেবান নেতা মোল্লা হায়বাতুল্লাহর ছোট ভাই।

তবে কোয়েটার চ্যামান হাইওয়ের এই (আল-হাজ) মসজিদে হামলার ঘটনায় কেউ এখন পর্যন্ত দায় স্বীকার করেনি।

জানা গেছে, বোমা বিস্ফোরণের সময় মসজিদে প্রায় ৫০ জনের মতো লোক ছিলেন। নিহত চার জন হলেন, হাফিজ হামদুল্লাহ, হাজী মোহাম্মদ সারোয়ার, রহিম ঘুল এবং মোহাম্মদ খাঁন।

কোয়েটার পুলিশ প্রধান আব্দুল রাজ্জাক চীমা বলেছেন, “ইমামের বসার কাঠের চেয়ারের নিচে পেতে রাখা একটি টাইম বোমা ছিল এটি।” হামলার ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী ও জঙ্গিদের তৎপরতা থাকলেও পাকিস্তানের অনেকের ধারণা এই বিস্ফোরণের পেছনে তালেবানের সঙ্গে লড়াইরত আফগানিস্তান সরকারের হাত থাকতে পারে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

পাকিস্তানে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৪

আপডেট টাইম : ০২:০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের কোয়েটায় এক মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২৫ জন। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় এই ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় মসজিদের ইমাম নিহত হয়েছেন।

আরো পড়ুন :  পাবনায় গণপিটুনিতে ২ ‘চরমপন্থী’ নিহত

পুলিশ জানিয়েছে, এটি একটি টাইম বোমা ছিল। এটি ইমামের বসার চেয়ারের নিচে রাখা হয়। ইমাম যখন বক্তৃতা দেওয়া শুরু করেন তখনই বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটে।

ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নিহত ইমামের নাম হাফিজ হামদুল্লাহ। তিনি তালেবান নেতা মোল্লা হায়বাতুল্লাহর ছোট ভাই।

তবে কোয়েটার চ্যামান হাইওয়ের এই (আল-হাজ) মসজিদে হামলার ঘটনায় কেউ এখন পর্যন্ত দায় স্বীকার করেনি।

জানা গেছে, বোমা বিস্ফোরণের সময় মসজিদে প্রায় ৫০ জনের মতো লোক ছিলেন। নিহত চার জন হলেন, হাফিজ হামদুল্লাহ, হাজী মোহাম্মদ সারোয়ার, রহিম ঘুল এবং মোহাম্মদ খাঁন।

কোয়েটার পুলিশ প্রধান আব্দুল রাজ্জাক চীমা বলেছেন, “ইমামের বসার কাঠের চেয়ারের নিচে পেতে রাখা একটি টাইম বোমা ছিল এটি।” হামলার ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী ও জঙ্গিদের তৎপরতা থাকলেও পাকিস্তানের অনেকের ধারণা এই বিস্ফোরণের পেছনে তালেবানের সঙ্গে লড়াইরত আফগানিস্তান সরকারের হাত থাকতে পারে।