ঢাকা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ট্রাম্পের কাছে অভিযোগকারী কে এই প্রিয়া সাহা

আলোর জগত ডেস্ক :   মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ বিষয়ে প্রিয়া সাহা নামের এক নারীর নালিশ দেয়ার ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় দুঃখ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কে এই প্রিয়া সাহা?

আরো পড়ুন :  ব্রিটিশ ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

জানা গেছে, প্রিয়া সাহা বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘শারি’-এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্বরত ।প্রিয়া সাহার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার চরবানিরীর মাটিভাঙ্গা নাজিরপুর। প্রিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মহিলা ঐক্য পরিষদ’এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। তবে অভিযোগ রয়েছে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য গেল বছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও জানা যায়, কয়েক বছর ধরেই প্রিয়া সাহার দুই মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তিনি কিছুদিন আগে সেখানে যান।
উল্লেখ্য, গেল ১৬ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওভাল অফিসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এমন কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেন। এতে প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আর এখানকার ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান গুম হয়ে গেছে। দয়া করে আমাদের, বাংলাদেশের জনগণকে সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এখনও এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ আছে। আমাদের অনুরোধ দয়া করে আমাদেরকে সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না। শুধু সাহায্য করুন প্রেসিডেন্ট। এক পর্যায়ে ট্রাম্প নিজেই সহানুভূতিশীলতার স্বরূপ এই নারীর সঙ্গে হাত মেলান।
এসময় ট্রাম্প প্রশ্ন করেন, কারা জমি দখল করেছে, কারা বাড়ি-ঘর দখল করেছে?
ট্রাম্পের ওই প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়া সাহা বলেন, তারা মুসলিম মৌলবাদী গ্রুপ এবং তারা সব সময় রাজনৈতিক আশ্রয় পায়। সব সময়ই পায়।
এদিকে এবিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার বলেছেন, ওই নারীর অভিযোগ সত্য নয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় একে-অপরকে শ্রদ্ধা করে
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

ট্রাম্পের কাছে অভিযোগকারী কে এই প্রিয়া সাহা

আপডেট টাইম : ১২:৪৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :   মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ বিষয়ে প্রিয়া সাহা নামের এক নারীর নালিশ দেয়ার ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় দুঃখ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কে এই প্রিয়া সাহা?

আরো পড়ুন :  ব্রিটিশ ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

জানা গেছে, প্রিয়া সাহা বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘শারি’-এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্বরত ।প্রিয়া সাহার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার চরবানিরীর মাটিভাঙ্গা নাজিরপুর। প্রিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মহিলা ঐক্য পরিষদ’এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। তবে অভিযোগ রয়েছে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য গেল বছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও জানা যায়, কয়েক বছর ধরেই প্রিয়া সাহার দুই মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তিনি কিছুদিন আগে সেখানে যান।
উল্লেখ্য, গেল ১৬ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওভাল অফিসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এমন কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেন। এতে প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আর এখানকার ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান গুম হয়ে গেছে। দয়া করে আমাদের, বাংলাদেশের জনগণকে সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এখনও এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ আছে। আমাদের অনুরোধ দয়া করে আমাদেরকে সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না। শুধু সাহায্য করুন প্রেসিডেন্ট। এক পর্যায়ে ট্রাম্প নিজেই সহানুভূতিশীলতার স্বরূপ এই নারীর সঙ্গে হাত মেলান।
এসময় ট্রাম্প প্রশ্ন করেন, কারা জমি দখল করেছে, কারা বাড়ি-ঘর দখল করেছে?
ট্রাম্পের ওই প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়া সাহা বলেন, তারা মুসলিম মৌলবাদী গ্রুপ এবং তারা সব সময় রাজনৈতিক আশ্রয় পায়। সব সময়ই পায়।
এদিকে এবিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার বলেছেন, ওই নারীর অভিযোগ সত্য নয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় একে-অপরকে শ্রদ্ধা করে