ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মিন্নি ৫ দিনের রিমান্ডে

আলোর জগত ডেস্ক : বরগুনায় রাস্তায় ফেলে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় গ্রেফতার তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে বরগুনার সিনিয়র মেজিস্ট্রেট আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরো পড়ুন :  এইচএসসিতে পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা, জিপিএ-৫-এ ছেলেরা

এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাজাহান হোসেন বলেন, মিন্নি এ মামলার ১ নম্বর সাক্ষী হলেও জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিন্নির সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে মিন্নির সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিফাত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মিন্নির কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। এজন্য তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, মিন্নি মানসিকভাবে অসুস্থ। এটা জানিয়েই আদালতে মিন্নির জামিন আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু জামিন না মঞ্জুর করে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এর আগে মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় পুলিশ তাকে এ মামলায় গ্রেফতার করা হলো। তাকে রিমান্ডে নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার তখন বলেছিলেন- মামলার সঠিক তদন্তের স্বার্থে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হবে।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা সাতজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

এ মামলায় মিন্নিসহ এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোরে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিনজনসহ সাত আসামি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় বর্তমানে ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

মিন্নি ৫ দিনের রিমান্ডে

আপডেট টাইম : ০৩:১৪:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক : বরগুনায় রাস্তায় ফেলে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় গ্রেফতার তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে বরগুনার সিনিয়র মেজিস্ট্রেট আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরো পড়ুন :  এইচএসসিতে পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা, জিপিএ-৫-এ ছেলেরা

এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাজাহান হোসেন বলেন, মিন্নি এ মামলার ১ নম্বর সাক্ষী হলেও জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিন্নির সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে মিন্নির সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিফাত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মিন্নির কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। এজন্য তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, মিন্নি মানসিকভাবে অসুস্থ। এটা জানিয়েই আদালতে মিন্নির জামিন আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু জামিন না মঞ্জুর করে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এর আগে মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় পুলিশ তাকে এ মামলায় গ্রেফতার করা হলো। তাকে রিমান্ডে নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার তখন বলেছিলেন- মামলার সঠিক তদন্তের স্বার্থে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হবে।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা সাতজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

এ মামলায় মিন্নিসহ এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোরে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিনজনসহ সাত আসামি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় বর্তমানে ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।