আলোর জগত ডেস্ক : শিশু নির্যাতন রোধে দেশের প্রতিটি স্কুলে অভিযোগ বক্স রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অরিত্রীর আত্মহত্যা মামলার শুনানিতে আদালত বলেন, শিশুরা তাদের অভিযোগগুলো মা-বাবা অথবা স্কুলের শিক্ষক কারও কাছেই বলতে পারে না। সেক্ষেত্রে স্কুলে একটি অভিযোগ বক্স থাকলে সেখানে নির্ভয়ে অভিযোগ লিখে দিতে পারবে।
আরো পড়ুন : যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না আজ
গতকাল বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এআদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (বাশার) এবং বিবাদীপক্ষে ছিলেনব্যারিস্টার অনিক আর হক।
অরিত্রীর আত্মহত্যা মামলার শুনানিতে আদালত বলেন, প্রতিটি স্কুলে শিশুদের নির্যাতনের অভিযোগ শোনার জন্য একটি অভিযোগ বক্স রাখতে হবে। শিশুরা তাদের অভিযোগগুলো মা-বাবা অথবা স্কুলের শিক্ষক কারও কাছেই বলতে পারে না। সেক্ষেত্রে স্কুলে একটি অভিযোগ বক্স থাকলে সেখানে নির্ভয়ে অভিযোগ লিখে দিতে পারবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে আদালত বলেন, এই অভিযোগ বক্সের বিষয়টি প্রচার করতে হবে। তাই তথ্য মন্ত্রণালয়কে এই মামলায় বিবাদী করা যায় কিনা সেবিষয়টি খতিয়ে দেখুন। একইসঙ্গে বুলিং (নির্যাতন) প্রতিরোধে যে কমিটি থাকবে সে কমিটির প্রধান যদি স্কুল প্রধান হন এবং তার বিরুদ্ধেই যদি নির্যাতনের অভিযোগ আসে তাহলে কমিটি তদন্ত করবে কীভাবে? সেজন্য জেলা প্রশাসন পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তাকে ওই কমিটিতে যুক্ত করা যায় কিনা সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নিন।
এরপর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় বুলিং নিরোধ কমিটির অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে অরিত্রীর আত্মহত্যার খবর প্রকাশের পর তা সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবীর নজরে আনা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
গতবছরের ৩ ডিসেম্বর শান্তিনগরের বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অরিত্রী (১৫)। তার আগেরদিন পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নেওয়া হয় স্কুলে। তখন অরিত্রীর সামনে তার বাবা-মাকে অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওইদিনই আত্মহত্যা করেন অরিত্রী।