আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন, মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ শাহিন আলম ওরফে আলামিন এবং রবিউল ইসলাম।গতকাল সোমবার শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। তাদের পুলিশি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, আটক যুবকদের কাছ থেকে ইসলামিক স্টেটের বহু নথিপত্র মিলেছে।
আরো পড়ুন : বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের হামলা
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতা শহরে আত্মগোপন করে ছিলো ছয়জনের একটি জেএমবি দল। গোপনসুত্রে খবর পেয়ে শিয়ালদহ স্টেশনের পার্কিং লটের কাছ থেকে মহসিন ও মামুনুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর তাদের জেরা করে জানা যায়, হাওড়া স্টেশন থেকে আরও দুই জঙ্গি ট্রেনে করে পালানোর ছক কষছে। এরপরেই হাওড়া স্টেশনে যায় এসটিএফের দলটি। সেখানে থেকে আটক করা হয় আলামিন ও রবিউল ইসলামকে।
পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতের এক সংবাদ মাধ্যম জানায়, আটক মহসিন, মামুনুর ও আলামিন বাংলাদেশের বাসিন্দা। আর রবিউল পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার নয়াগ্রামের বাসিন্দা।
আটককৃতদের কাছ থেকে ছবি ও ভিডিয়োসহ মোবাইল ফোন, আইএস মতাদর্শের বেশ কিছু প্রচার পুস্তিকা ও পত্রিকা পাওয়া গিয়েছে। ওই চারজনকে মঙ্গলবারই আদালতে তোলার কথা রয়েছে। আটককৃতদের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।
ওই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে এরা জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)’র সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জড়িত। বাংলাদেশে ওই নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। তাই ওই চারজন ভারতে পালিয়ে এসে গা ঢাকা দিয়েছিলো।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আরো জানতে পেরেছে, ধৃত তিন জেএমবি সদস্য সংগঠনটির জন্য অর্থ জোগাড় ও নতুন সদস্য নিয়োগের কারনেই ভারতে এসেছিলো। মঙ্গলবারই তাদের বাংলাদেশে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো। তার আগেই গ্রেপ্তার হয়ে যায় তারা। ধৃতেরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নিও জেএমবি আইএস-এর সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এটি জেএমবির নয়া সংগঠন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
সম্প্রতি আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী তাদের মুখপত্র আমাক নিউজে বাংলায় এক বিবৃতি জারি করে দাবি করে, খুব শীঘ্রই বাংলায় তারা আসছে।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ— এই দুই বাংলাতেই নব্য জেএমবি ফের নতুন করে ঘাঁটি তৈরির চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, আইএস-এর প্রত্যক্ষ সাহায্যে নব্য জেএমবি নতুন প্রধান নির্বাচন করে এ রাজ্যে সংগঠন তৈরি করারও চেষ্টা করছে দলটি।