আলোর জগত ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সোনার হরিণ ধরতে কাউকে সবকিছু বিক্রি করে অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন নেই। গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী জাপানের রাজধানী টোকিওর হোটেল ওকুরাতে এক নাগরিক সংবর্ধনায় একথা বলেন।
আরো পড়ুন : জাপান নিয়ে আমার মধ্যে মোহ কাজ করত : প্রধানমন্ত্রী
আরো পড়ুন : জাপানে ছুরি হামলায় স্কুলশিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
আরো পড়ুন : মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, অনেকে সোনার হরিণের খোঁজে বিদেশ যায়। এটা ঠিক যে অনেকে তাদের ভাগ্য বদলাতে পারে এবং আমাদের দেশেরও উন্নতি হয়…এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আমি মনে করি, অবৈধভাবে আরেক দেশে যাওয়ার কোনো প্রয়োজনই নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে বিদেশ যাওয়ার অনিশ্চিত পথে যাত্রা করতে ঘরবাড়ি ও জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন। ‘তারা এমনকি জানে না তাদের চাকরি কোথায় এবং কী অপেক্ষা করছে।
তিনি আরো বলেন, হয়তো দালালরা তাদের বড় স্বপ্ন দেখায় ও মানুষ ওই স্বপ্নের পেছনে ছুটতে শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত জীবন দেয়।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বিদেশে চাকরির সন্ধানকারীদের জন্য সরকার দেশের সব ডিজিটাল সেন্টারে নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করেছে এবং তাদের তালিকা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষণ করা হবে। যে কেউ চাকরির ধরন, বেতন ও চাকরি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করে বিদেশ যেতে পারেন।
বিদেশে কাজের সন্ধানকারীরা যাতে ভালো চাকরি পায় সে জন্য সরকার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের ঋণ দেয়ার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদেশে চাকরির সন্ধানে ঘরবাড়ি ও জমি বিক্রি করার দরকার নেই। কারণ অতি দরিদ্রদের জামানত ছাড়া ঋণ দেয়ার বিধান রয়েছে ব্যাংকে। আমি জানি না, এত সুযোগ থাকার পরও কেন মানুষ ৮ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ যাচ্ছে এবং সমুদ্রে ডুবে মরছে।
বাংলাদেশে একজন ২-৪ লাখ টাকায় ব্যবসা করে রোজগার করতে পারেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশ যাওয়ার নামে অর্থ ও জীবন নষ্ট করার কোনো দরকার নেই।
দেশব্যাপী ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে বিপুল বিনিয়োগ হবে। সেই সাথে কর্মসংস্থান ও মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, জাপানে প্রবাসী বাংলাদেশি সালেহ মোহাম্মদ আরিফ ও শাকুরা সাবের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।