ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা আজ

আলোর জগত ডেস্ক :  আজ শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা। দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবটি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করবে। বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন :  বাগেরহাটে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ৬

আরো পড়ুন :  ঝড় ও বজ্রপাতে রাজধানীসহ সারা দেশে নিহত ১৪

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, মহামতি বুদ্ধ একটি সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় আজীবন সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করে গেছেন। ‘অহিংস পরম ধর্ম’—বুদ্ধের এই অমিয় বাণী আজও সমাজে শান্তির জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় গৌতম বুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে জ্ঞান, মেধা, কর্মদক্ষতা ও কৃতিত্বে নিজেদের আরো ঊর্ধ্বে তুলে ধরবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে বৈশাখী পূর্ণিমার দিন বৌদ্ধ ধর্ম প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ নেপালের লুম্বিনী কাননে জন্মগ্রহণ করেন। এ রাতেই তিনি বোধিজ্ঞান লাভ করেন ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায়। এ ছাড়া গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুও হয়েছিল এ রাতেই। এ তিথিকে তাই বলা হয় ত্রিস্মৃতিবিজড়িত বুদ্ধপূর্ণিমা। এ ছাড়া গৌতম বুদ্ধের জন্ম, মহাপ্রয়াণ ও বোধিলাভ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে বুদ্ধপূর্ণিমাকে বৈশাখী পূর্ণিমাও বলা হয়।

দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়। বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ রাজধানীর সবুজবাগের ঢাকা ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে এবং বুড্ডিস্ট ফেডারেশন রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে পৃথকভাবে আজ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধপূজা, শীলগ্রহণ, মহাসংঘদান, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ, আলোচনা সভা, সমবেত প্রার্থনা, প্রদীপ পূজা, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি। জাতীয় জাদুঘর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি র‌্যালির আয়োজন করেছে বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ। এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা আজ

আপডেট টাইম : ০২:০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :  আজ শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা। দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবটি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করবে। বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন :  বাগেরহাটে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ৬

আরো পড়ুন :  ঝড় ও বজ্রপাতে রাজধানীসহ সারা দেশে নিহত ১৪

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, মহামতি বুদ্ধ একটি সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় আজীবন সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করে গেছেন। ‘অহিংস পরম ধর্ম’—বুদ্ধের এই অমিয় বাণী আজও সমাজে শান্তির জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় গৌতম বুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে জ্ঞান, মেধা, কর্মদক্ষতা ও কৃতিত্বে নিজেদের আরো ঊর্ধ্বে তুলে ধরবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে বৈশাখী পূর্ণিমার দিন বৌদ্ধ ধর্ম প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ নেপালের লুম্বিনী কাননে জন্মগ্রহণ করেন। এ রাতেই তিনি বোধিজ্ঞান লাভ করেন ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায়। এ ছাড়া গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুও হয়েছিল এ রাতেই। এ তিথিকে তাই বলা হয় ত্রিস্মৃতিবিজড়িত বুদ্ধপূর্ণিমা। এ ছাড়া গৌতম বুদ্ধের জন্ম, মহাপ্রয়াণ ও বোধিলাভ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে বুদ্ধপূর্ণিমাকে বৈশাখী পূর্ণিমাও বলা হয়।

দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়। বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ রাজধানীর সবুজবাগের ঢাকা ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে এবং বুড্ডিস্ট ফেডারেশন রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে পৃথকভাবে আজ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধপূজা, শীলগ্রহণ, মহাসংঘদান, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ, আলোচনা সভা, সমবেত প্রার্থনা, প্রদীপ পূজা, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি। জাতীয় জাদুঘর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি র‌্যালির আয়োজন করেছে বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ। এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করবে।