ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

বৌদ্ধ পূর্ণিমায় ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক :  বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আগামী ১৮ মে শনিবার অনুষ্ঠিতব্য বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএমপি।গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএমপির সদরদপ্তরে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

সমন্বয় সভায় বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে ডিএমপি কর্তৃক সুদৃঢ়, সমন্বিত ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আরো পড়ুন :  কক্সবাজারে এক রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

আরো পড়ুন :   আগামী ২২ মে থেকে ঈদের অগ্রিম ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু

অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে নিরাপত্তার নির্দেশনা

১। সব বৌদ্ধ মন্দির ও তার আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
২। বৌদ্ধ মন্দির ও আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে।
৩। সব দর্শনার্থীকে ম্যানুয়ালি ও আর্চওয়ে দিয়ে তল্লাশি করিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করানো হবে।
৪। মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে এবং তাদের আলাদা পোশাক, আর্মড ব্যান্ড বা আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫। সব ধরনের মাদকদ্রব্য, আতশবাজি ও পটকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
৬। নিরাপত্তার স্বার্থে ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
৭। নামাজের সময় সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজানো বন্ধ রাখতে হবে।
৮। সর্বসাধারণের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মন্দিরের আশপাশে কোনও ভাসমান দোকান ও হকার বসতে দেওয়া হবে না।
৯। নিরাপত্তার স্বার্থে মন্দির সংশ্লিষ্ট রাস্তায় পর্যাপ্ত ব্যারিকেড ব্যবস্থা রাখা হবে।
১০। সন্দেহভাজন কাউকে মন্দিরে প্রবেশের আগেই তার পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে।
১১। বড় ব্যাগ, ব্যাক-প্যাক, পোটলা, ধারালো কোনও বস্তু, দাহ্য পদার্থ নিয়ে মন্দির ও অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করা যাবে না।
১২। অনুষ্ঠানস্থল বোম্ব ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে।
১৩। অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা হিসেবে পর্যাপ্ত ফায়ার টেন্ডার ও দ্রুত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হবে।
১৪। মন্দিরের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় সব শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি নিয়ে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন কমিটি গঠন করা হবে।
১৫। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।
১৬। গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক অগ্রিম সংবাদ সংগ্রহ করে পোশাকি পুলিশকে সরবরাহ করা হবে।

শোভাযাত্রাকেন্দ্রিক নিরাপত্তার নির্দেশনা
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আগামী ১৭ মে সকাল ৯টায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত শান্তি শোভাযাত্রা জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাবে শেষ হবে। ১৮ মে সকাল সাড়ে ৭টায় ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার কর্তৃক আয়োজিত শান্তি শোভাযাত্রা ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার থেকে শুরু হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম, কমলাপুর হয়ে পুনরায় ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে গিয়ে শেষ হবে।
শোভাযাত্রায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।
১। শোভাযাত্রা শুরুর আগে সবাইকে তল্লাশি করে শোভাযাত্রায় প্রবেশ করানো হবে।
২। শোভাযাত্রা শুরুর পর রাস্তায় কাউকে নতুন করে শোভাযাত্রায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।
৩। পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে শোভাযাত্রার চারপাশ বেষ্টনী দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
৪। শোভাযাত্রায় কোনও ধরনের ব্যাগ ও ব্যাক-প্যাক, দাহ্য পদার্থ, ধারালো বস্তু, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অংশ নেওয়া যাবে না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

বৌদ্ধ পূর্ণিমায় ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তা

আপডেট টাইম : ০৩:২০:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক :  বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আগামী ১৮ মে শনিবার অনুষ্ঠিতব্য বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএমপি।গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএমপির সদরদপ্তরে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

সমন্বয় সভায় বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে ডিএমপি কর্তৃক সুদৃঢ়, সমন্বিত ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আরো পড়ুন :  কক্সবাজারে এক রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

আরো পড়ুন :   আগামী ২২ মে থেকে ঈদের অগ্রিম ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু

অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে নিরাপত্তার নির্দেশনা

১। সব বৌদ্ধ মন্দির ও তার আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
২। বৌদ্ধ মন্দির ও আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে।
৩। সব দর্শনার্থীকে ম্যানুয়ালি ও আর্চওয়ে দিয়ে তল্লাশি করিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করানো হবে।
৪। মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে এবং তাদের আলাদা পোশাক, আর্মড ব্যান্ড বা আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫। সব ধরনের মাদকদ্রব্য, আতশবাজি ও পটকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
৬। নিরাপত্তার স্বার্থে ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
৭। নামাজের সময় সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজানো বন্ধ রাখতে হবে।
৮। সর্বসাধারণের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মন্দিরের আশপাশে কোনও ভাসমান দোকান ও হকার বসতে দেওয়া হবে না।
৯। নিরাপত্তার স্বার্থে মন্দির সংশ্লিষ্ট রাস্তায় পর্যাপ্ত ব্যারিকেড ব্যবস্থা রাখা হবে।
১০। সন্দেহভাজন কাউকে মন্দিরে প্রবেশের আগেই তার পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে।
১১। বড় ব্যাগ, ব্যাক-প্যাক, পোটলা, ধারালো কোনও বস্তু, দাহ্য পদার্থ নিয়ে মন্দির ও অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করা যাবে না।
১২। অনুষ্ঠানস্থল বোম্ব ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে।
১৩। অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা হিসেবে পর্যাপ্ত ফায়ার টেন্ডার ও দ্রুত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হবে।
১৪। মন্দিরের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় সব শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি নিয়ে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন কমিটি গঠন করা হবে।
১৫। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।
১৬। গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক অগ্রিম সংবাদ সংগ্রহ করে পোশাকি পুলিশকে সরবরাহ করা হবে।

শোভাযাত্রাকেন্দ্রিক নিরাপত্তার নির্দেশনা
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আগামী ১৭ মে সকাল ৯টায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত শান্তি শোভাযাত্রা জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাবে শেষ হবে। ১৮ মে সকাল সাড়ে ৭টায় ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার কর্তৃক আয়োজিত শান্তি শোভাযাত্রা ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার থেকে শুরু হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম, কমলাপুর হয়ে পুনরায় ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে গিয়ে শেষ হবে।
শোভাযাত্রায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।
১। শোভাযাত্রা শুরুর আগে সবাইকে তল্লাশি করে শোভাযাত্রায় প্রবেশ করানো হবে।
২। শোভাযাত্রা শুরুর পর রাস্তায় কাউকে নতুন করে শোভাযাত্রায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।
৩। পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে শোভাযাত্রার চারপাশ বেষ্টনী দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
৪। শোভাযাত্রায় কোনও ধরনের ব্যাগ ও ব্যাক-প্যাক, দাহ্য পদার্থ, ধারালো বস্তু, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অংশ নেওয়া যাবে না।