আলোর জগত ডেস্ক: শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি রুটে ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষে স্পিডবোট ডুবিতে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন। এছাড়া এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। গতকাল বৃস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাঠালবাড়ি ফেরিঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ধেয়ে আসা ভয়াবহ ঘূর্র্ণিঝড় ফণীর জন্য দেয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতে স্পিডবোট চালানোয় ৯ চালককে আটক করেছে পুলিশ।
আরো পড়ুন : আবারও পরিবর্তন আনা হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সিতে
আরো পড়ুন : ২০০ কিমি বেগে ওড়িশায় আছড়ে পড়ল ফণী
জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে স্পিডবোটে ২০ জন যাত্রী নিয়ে আল আমিন নামে এক চালক কাঠালবাড়ি ঘাটে রওনা করে। স্পিডবোটটি কাঠালবাড়ি ৪নং ফেরিঘাট এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে স্পিডবোটটি ডুবে চার যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে মুরাদ (২৫) নামে এক যাত্রী মারা যান।
নিহত মুরাদ ঢাকার বাড্ডার খিলবাড়ির টেক এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে। তার শ^শুর বাড়ি শিবচরের নিলখী।
এছাড়া এই ঘটনায় আমির হামজা (৬) নামে এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ শিশুটির বাবা-মা ও ভাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
নিখোঁজ আমির হামজার মামা কামরুল হোসেন বলেন, ‘আমার বোন, জামাই ও দুই ভাগিনা আমাদের বাড়ি আসছিল। তাদের বহনকারী স্পিডবোটটি ডুবে যাওয়ায় বোন-জামাই ও বড় ভাগিনা গুরুতর আহত হয়েছে এবং ছোট ভাগিনা নিখোঁজ রয়েছে।’
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আদনান বলেন, ‘মুরাদ নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছের। তার পেটের আঘাতটি গুরুতর ছিল। এছাড়া আরও দুইজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’