ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

যুগের প্রয়োজনেই অনলাইন পত্রিকা, অভ্যস্ত হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

আলোর জগত ডেস্ক:   সংবাদ মাধ্যমের পরিবর্তনের ধারায় অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে গ্রহণ করে তাতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার জন্য সকলকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তার সাম্প্রতিক ব্রুনেই সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

ছাপা পত্রিকার সামনে প্রযুক্তি যে বাস্তবতা দাঁড় করিয়েছে সেটা সংশ্লিষ্টদের মানতেই হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল বাংলাদেশে নয়, প্রযুক্তি সারাবিশ্বের মানুষের জন্য নানা সুযোগ সৃষ্টি করেছে, আধুনিকতার জায়গায় নিয়ে গেছে। সেজন্য এক ধরণের ধারাবাহিকতায় চলতে থাকলে হবে না। আধুনিকতা ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

আরো পড়ুন :  শ্রীলঙ্কায় হামলার মূল হোতা জাহরান নিহত

আরো পড়ুন :   মালিঙ্গার বোলিং তাণ্ডবে চেন্নাইকে বড় ব্যবধানে হারাল মুম্বাই

আরো পড়ুন :   শ্রীলঙ্কায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান, নারী-শিশুসহ নিহত ১৫

আরো পড়ুন :    সারাদেশে কমবে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টির সম্ভাবনা

প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আধুনিক যুগে পৃথিবীর বহু দেশে অনেক নামিদামি পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। ছাপা কাগজের পরিবর্তে সেখানে অনলাইন সংস্করণগুলো চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক নামিদামি পত্রিকা শুধু অনলাইনেই চলে; ছাপানোটা আর হয় না, একদম নাই। এ রকম বহু নামকরা পত্রিকা এখন চলে গেছে অনলাইনে। কাগজ আর ব্যবহারই হয় না। এটা হচ্ছে একটা যুগের অথবা প্রযুক্তির প্রভাব। প্রযুক্তি ও আধুনিকতার প্রভাবে এভাবে বিবর্তন আসতেই থাকবে।

বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক সংবাদপত্র জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দৈনিক পত্রিকা প্রায় ৭০০ এর ওপরে। মফস্বলে আমাদের প্রচুর পত্রিকা। এত পত্রিকা মনে হয় পৃথিবীর কোনো দেশে চলে না। কোনো দেশে নাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরে একটি মাত্র কোম্পানি। তাদের পত্রিকা। সেটাও সরকার স্পন্সরড। তাদেরই বিভিন্ন ভাগাভাগি। ব্যবসা, খবর, বিনোদন, স্পোর্টস এ রকম ভাগাভাগি। অন্যান্য সব দেশেও। আমাদের প্রতিটি আশপাশের দেশে দেখেন। আমাদের মতো এত পত্রিকা কিন্তু কোনো দেশে নেই।

সরকারপ্রধান বলেন, এখনো অনেকে চ্যানেল চাইছে। তথ্যমন্ত্রীর (ড. হাছান মাহমুদ) সঙ্গে কথা হচ্ছিলো। বললাম যতো চাইছে, দিয়ে দিতে। কিছু না হোক, কিছু লোকেরতো চাকরি হবে, কর্মসংস্থান হবে। যে যত চাক, সে তত পাক, আমার অসুবিধা নেই। ভালো অনুষ্ঠান যারা করবে, তাদের প্রতি মানুষের আকর্ষণ হবে, মানুষ দেখবে। আমাদেরও তো ১৬ কোটি মানুষের দেশ। গ্রাহক কখনো কমবে না, এটুকু বলতে পারি।

তিনি বলেন, আমরা সবকিছু ডিজিটালাইজড করে দিয়েছি, স্যাটেলাইটও হয়েছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও টিভি চালানো যায়। তিন মাসের জন্য বিনা পয়সায় (টিভি চ্যানেল) চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু চ্যানেলগুলো সেভাবে নিচ্ছে না। অথচ বিদেশি জায়গায় অনেক টাকা দিচ্ছে। কিভাবে আমাদের স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অল্প খরচে টেলিভিশন চালাতে পারে সেজন্য কথা চলছে।

ওয়েজ বোর্ড কার্যকর করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সরকারের পক্ষ থেকে ওয়েজবোর্ড নিয়ে যেটা করণীয় সেটা আমরা করে দিয়েছি। এটি নির্ভর করছে মালিকপক্ষ কতটুকু বাস্তবায়ন করবে তার ওপর। সাংবাদিকরা সেখান থেকে যতটুকু আদায় করে নিতে পারেন সেটাও দেখার বিষয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

যুগের প্রয়োজনেই অনলাইন পত্রিকা, অভ্যস্ত হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০২:৩০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক:   সংবাদ মাধ্যমের পরিবর্তনের ধারায় অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে গ্রহণ করে তাতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার জন্য সকলকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তার সাম্প্রতিক ব্রুনেই সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

ছাপা পত্রিকার সামনে প্রযুক্তি যে বাস্তবতা দাঁড় করিয়েছে সেটা সংশ্লিষ্টদের মানতেই হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল বাংলাদেশে নয়, প্রযুক্তি সারাবিশ্বের মানুষের জন্য নানা সুযোগ সৃষ্টি করেছে, আধুনিকতার জায়গায় নিয়ে গেছে। সেজন্য এক ধরণের ধারাবাহিকতায় চলতে থাকলে হবে না। আধুনিকতা ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

আরো পড়ুন :  শ্রীলঙ্কায় হামলার মূল হোতা জাহরান নিহত

আরো পড়ুন :   মালিঙ্গার বোলিং তাণ্ডবে চেন্নাইকে বড় ব্যবধানে হারাল মুম্বাই

আরো পড়ুন :   শ্রীলঙ্কায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান, নারী-শিশুসহ নিহত ১৫

আরো পড়ুন :    সারাদেশে কমবে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টির সম্ভাবনা

প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আধুনিক যুগে পৃথিবীর বহু দেশে অনেক নামিদামি পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। ছাপা কাগজের পরিবর্তে সেখানে অনলাইন সংস্করণগুলো চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক নামিদামি পত্রিকা শুধু অনলাইনেই চলে; ছাপানোটা আর হয় না, একদম নাই। এ রকম বহু নামকরা পত্রিকা এখন চলে গেছে অনলাইনে। কাগজ আর ব্যবহারই হয় না। এটা হচ্ছে একটা যুগের অথবা প্রযুক্তির প্রভাব। প্রযুক্তি ও আধুনিকতার প্রভাবে এভাবে বিবর্তন আসতেই থাকবে।

বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক সংবাদপত্র জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দৈনিক পত্রিকা প্রায় ৭০০ এর ওপরে। মফস্বলে আমাদের প্রচুর পত্রিকা। এত পত্রিকা মনে হয় পৃথিবীর কোনো দেশে চলে না। কোনো দেশে নাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরে একটি মাত্র কোম্পানি। তাদের পত্রিকা। সেটাও সরকার স্পন্সরড। তাদেরই বিভিন্ন ভাগাভাগি। ব্যবসা, খবর, বিনোদন, স্পোর্টস এ রকম ভাগাভাগি। অন্যান্য সব দেশেও। আমাদের প্রতিটি আশপাশের দেশে দেখেন। আমাদের মতো এত পত্রিকা কিন্তু কোনো দেশে নেই।

সরকারপ্রধান বলেন, এখনো অনেকে চ্যানেল চাইছে। তথ্যমন্ত্রীর (ড. হাছান মাহমুদ) সঙ্গে কথা হচ্ছিলো। বললাম যতো চাইছে, দিয়ে দিতে। কিছু না হোক, কিছু লোকেরতো চাকরি হবে, কর্মসংস্থান হবে। যে যত চাক, সে তত পাক, আমার অসুবিধা নেই। ভালো অনুষ্ঠান যারা করবে, তাদের প্রতি মানুষের আকর্ষণ হবে, মানুষ দেখবে। আমাদেরও তো ১৬ কোটি মানুষের দেশ। গ্রাহক কখনো কমবে না, এটুকু বলতে পারি।

তিনি বলেন, আমরা সবকিছু ডিজিটালাইজড করে দিয়েছি, স্যাটেলাইটও হয়েছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও টিভি চালানো যায়। তিন মাসের জন্য বিনা পয়সায় (টিভি চ্যানেল) চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু চ্যানেলগুলো সেভাবে নিচ্ছে না। অথচ বিদেশি জায়গায় অনেক টাকা দিচ্ছে। কিভাবে আমাদের স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অল্প খরচে টেলিভিশন চালাতে পারে সেজন্য কথা চলছে।

ওয়েজ বোর্ড কার্যকর করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি সরকারের পক্ষ থেকে ওয়েজবোর্ড নিয়ে যেটা করণীয় সেটা আমরা করে দিয়েছি। এটি নির্ভর করছে মালিকপক্ষ কতটুকু বাস্তবায়ন করবে তার ওপর। সাংবাদিকরা সেখান থেকে যতটুকু আদায় করে নিতে পারেন সেটাও দেখার বিষয়।