ঢাকা ০২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মাদক থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় তিনভাবে কাজ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আলোর জগত ডেস্কঃ  মাদকের ভয়াল থাবা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় তিনভাবে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৃহস্পতিবার মন্ত্রী বলেন, মাদক নির্মূলে সকলে মিলে কাজ করা হচ্ছে। আমরা তিনভাবে কাজ করছি- ডিমান্ড হ্রাস, সাপ্লাই হ্রাস এবং সর্বোপরি মাদকাসক্তদের পুনরায় কর্মক্ষম করতে নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে কাজ করছি।

আরো পড়ুন: আমানতে সুদ বেশি থাকবে বেসরকারি ব্যাংকে : অর্থমন্ত্রী

দেশের কারাগারগুলোতে ৮০ হাজারের বেশি বন্দির অধিকাংশই মাদকের আসামি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। এর বিপরীতে ৮০ হাজারের ওপর বন্দি রয়েছে। এই বন্দিদের বেশিরভাগই মাদকের আসামি। মাদক মামলা নিস্পত্তির জন্য আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রক্রিয়াধীন।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ মাদকের চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর দেশে ঢোকা মাদক পাচার হওয়ার পর অবশিষ্ট অংশ থেকে যাচ্ছে।

আসাদুজ্জামান বলেন, যতবারই কথা বলেছি, মিয়ানমার ততবারই প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও কাজ করছে না। এর ফলে ইয়াবা নামক ভয়াল নেশার হাত থেকে আমাদের যুবক-যুবতীরা রক্ষা পাচ্ছে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, চীন একটি আফিমখোরের দেশ ছিল। আফিম খেয়ে চীনের লোকজন দিনের পর দিন ঘুমিয়ে থাকতো। সেখান থেকে মাও সেতুং টেনে নিয়ে চীনকে আজকে কোথায় নিয়ে গেছে। আমরাও পারব মাদককে রুখে দিয়ে সোনার বাংলা গড়তে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

মাদক থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় তিনভাবে কাজ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৩:৪৯:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২০

আলোর জগত ডেস্কঃ  মাদকের ভয়াল থাবা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় তিনভাবে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৃহস্পতিবার মন্ত্রী বলেন, মাদক নির্মূলে সকলে মিলে কাজ করা হচ্ছে। আমরা তিনভাবে কাজ করছি- ডিমান্ড হ্রাস, সাপ্লাই হ্রাস এবং সর্বোপরি মাদকাসক্তদের পুনরায় কর্মক্ষম করতে নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে কাজ করছি।

আরো পড়ুন: আমানতে সুদ বেশি থাকবে বেসরকারি ব্যাংকে : অর্থমন্ত্রী

দেশের কারাগারগুলোতে ৮০ হাজারের বেশি বন্দির অধিকাংশই মাদকের আসামি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। এর বিপরীতে ৮০ হাজারের ওপর বন্দি রয়েছে। এই বন্দিদের বেশিরভাগই মাদকের আসামি। মাদক মামলা নিস্পত্তির জন্য আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রক্রিয়াধীন।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ মাদকের চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর দেশে ঢোকা মাদক পাচার হওয়ার পর অবশিষ্ট অংশ থেকে যাচ্ছে।

আসাদুজ্জামান বলেন, যতবারই কথা বলেছি, মিয়ানমার ততবারই প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও কাজ করছে না। এর ফলে ইয়াবা নামক ভয়াল নেশার হাত থেকে আমাদের যুবক-যুবতীরা রক্ষা পাচ্ছে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, চীন একটি আফিমখোরের দেশ ছিল। আফিম খেয়ে চীনের লোকজন দিনের পর দিন ঘুমিয়ে থাকতো। সেখান থেকে মাও সেতুং টেনে নিয়ে চীনকে আজকে কোথায় নিয়ে গেছে। আমরাও পারব মাদককে রুখে দিয়ে সোনার বাংলা গড়তে।