ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নানা আয়োজনে শুভ বড়দিন উদযাপিত

আলোর জগত ডেস্কঃ  নানা আয়োজনে বাংলাদেশে উদযাপিত হয়েছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। দিনটি উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন গির্জায় আলোকসজ্জা করা হয়। প্রার্থনা সভায় অংশ নেন নানা বয়সের মানুষ। তারকা হোটেলগুলোতে ছিল জমকালো আয়োজন। শান্তা ক্লজের হাত থেকে উপহার নিতে ভিড় করে শিশুরা। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের মানুষজনও উৎসবে যোগ দেন। রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। ব্যাপক আয়োজন ছিল কাকরাইলে অবস্থিত সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চেও।

আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় বাস খাদে পড়ে নিহত ২৪

বড় দিন উপলক্ষে ছিল সরকারি ছুটি। দিনটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো.আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দেন।

বিকালে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, কূটনৈতিক কোরের ডীন, আর্চবিশপ, খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ধর্ম আমাদের আলোর পথ দেখায়, অন্যায়, পাপ, অন্ধকার থেকে দূরে রাখে।

বড়দিন ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা। উন্মুক্ত স্থান বা বাড়ির ছাদে গান-বাজনা, আতশবাজি ও ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়।

উল্লেখ্য, এই দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেয়া, মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করা এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার করতে তার আগমন ঘটেছিল।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

নানা আয়োজনে শুভ বড়দিন উদযাপিত

আপডেট টাইম : ০৩:০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

আলোর জগত ডেস্কঃ  নানা আয়োজনে বাংলাদেশে উদযাপিত হয়েছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। দিনটি উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন গির্জায় আলোকসজ্জা করা হয়। প্রার্থনা সভায় অংশ নেন নানা বয়সের মানুষ। তারকা হোটেলগুলোতে ছিল জমকালো আয়োজন। শান্তা ক্লজের হাত থেকে উপহার নিতে ভিড় করে শিশুরা। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের মানুষজনও উৎসবে যোগ দেন। রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। ব্যাপক আয়োজন ছিল কাকরাইলে অবস্থিত সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চেও।

আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় বাস খাদে পড়ে নিহত ২৪

বড় দিন উপলক্ষে ছিল সরকারি ছুটি। দিনটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো.আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দেন।

বিকালে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, কূটনৈতিক কোরের ডীন, আর্চবিশপ, খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ধর্ম আমাদের আলোর পথ দেখায়, অন্যায়, পাপ, অন্ধকার থেকে দূরে রাখে।

বড়দিন ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা। উন্মুক্ত স্থান বা বাড়ির ছাদে গান-বাজনা, আতশবাজি ও ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়।

উল্লেখ্য, এই দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেয়া, মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করা এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার করতে তার আগমন ঘটেছিল।