আলোর জগত ডেস্কঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ল্যাংড়া খালেদকে অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক মাহমুদা আক্তার ও শাহিনূর রহমান এ আদেশ দেন।
আরো পড়ুন : নারায়ণগঞ্জে মা ও দুই মেয়েকে গলা কেটে হত্যা
খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে র্যাব। এছাড়া মতিঝিলি থানায় মাদক আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র ও মাদকের মামলায় খালেদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
আদালতে খালেদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী মো. আয়ুবুর রহমান মানিক, হাসানসহ কয়েকজন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন রাকিবুল।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মাহমুদা আক্তার অস্ত্র আইনের মামলায় খালেদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে মাদক আইনের মামলায় খালেদের আরও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক শাহিনূর রহমান।
এর আগে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে আটক করে র্যাব।
র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, আটক খালেদকে র্যাব-৩ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, ক্যাসিনো ও মাদক ব্যবসা নিয়ে আটক খালেদকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে গুলশান থানায় ও মাদক আইনে মতিঝিল থানায় পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। র্যাব বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে এ দুটি মামলা করবে বলেও জানান তিনি।
গতকাল বুধবার রাতে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব। আটকের পর তাকে র্যাব-৩ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রেপ্তারের সময় খালেদের বাসা থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, লকার থেকে ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া ডলারেরও বান্ডিল পাওয়া যায়। টাকায় তা ৫-৬ লাখ টাকা হবে বলে জানায় র্যাব। এছাড়া তার কাছ থেকে মোট ৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দুটি লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ করে রাখা হয়েছিল।