ঢাকা ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বিমানের ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আলোর জগত ডেস্কঃ  আকাশে উড়ল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘রাজহংস’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বিকেল ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনাল এলাকায় রাজহংসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন।

আরো পড়ুন :  ড. কালাম আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন শেখ হাসিনা

এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের সঙ্গে ক্রয়চুক্তির সব উড়োজাহাজই এখন রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যুক্ত হয়েছে। বিমানের কর্মকর্তারা জানান, এতে বিজনেস ক্লাস ২৪টি ও ইকোনমি আসন ২৪৭টি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দশটি ড্রিমলাইনারের নাম আমি দিয়েছি, যাতে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে সবাই পরিচিত হতে পারেন।’ পণ্য রফতানির জন্য দুটো কার্গো বিমান কেনা ও কার্গো ভিলেজ গড়ে তোলার কথাও বলেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে বোয়িংয়ের সঙ্গে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারে তিনটি মডেলের ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি করে বিমান সংস্থা। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ রয়েছে। ক্রয় আদেশ দেওয়ার পর একে একে এগুলো পেতে প্রায় ১১ বছর লেগেছে। সর্বশেষ গত শনিবার বিমানে যুক্ত হয়েছে ‘রাজহংস’।

উড়োজাহাজগুলোর অবশ্য আলাদা নামকরণও হয়েছে। উড়োজাহাজের নামকরণের ক্ষেত্রে প্রথমে বিমানের কর্মীদের কাছ থেকে নাম চাওয়া হয়। সেগুলোর প্রাথমিক তালিকা তৈরির পর চূড়ান্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর পছন্দে নাম রাখা হয়। এগুলো হলো পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত, ময়ূরপঙ্খি, আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, তিনটি মডেলের মধ্যে প্রথমেই ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজগুলো সরবরাহ শুরু করে বোয়িং। ২০০৮ সালে ক্রয় আদেশ দেওয়ার পর ২০১১ সালের ২১ অক্টোবর একটি ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ প্রথম বিমানবহরে যুক্ত হয়। এর নাম রাখা হয় ‘পালকি’। একই বছর ২৩ নভেম্বর বিমানকে আরেকটি ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ সরবরাহ করে বোয়িং।

এর নাম রাখা হয় ‘অরুণ আলো’। এরপর ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আরেকটি ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ সরবরাহ করে বোয়িং। এর নাম রাখা হয় ‘আকাশ প্রদীপ’। এই সিরিজের সবশেষ উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত হয় ২০১৮ সালের ২১ মার্চ। এর নাম রাখা হয় ‘রাঙা প্রভাত’।

এ ছাড়া চারটি ৭৭৭-৩০০ ইআর আকাশযান পাঠানো শেষে বিমানকে ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ সরবরাহ শুরু করে বোয়িং। ক্রয় আদেশ দেওয়া দুটি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজের প্রথমটি বিমানবহরে আসে ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর। এর নাম রাখা হয় ‘মেঘদূত’।

দ্বিতীয় বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ বিমানবহরে যুক্ত হয় একই বছরের ২২ ডিসেম্বর। এর নাম রাখা হয় ‘ময়ূরপঙ্খি’। ২০১৮ সালে ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার সরবরাহ শুরু করে বোয়িং। ওই বছরের ১৯ আগস্ট দেশে আসে প্রথম ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। এর নাম রাখা হয় ‘আকাশবীণা’।

একই বছরের ১ ডিসেম্বর ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে। এর নাম রাখা হয় ‘হংসবলাকা’। তৃতীয় ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার যুক্ত হয়েছে গত ২৫ জুলাই। এর নাম রাখা হয় ‘গাঙচিল’।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

বিমানের ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৩:০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আলোর জগত ডেস্কঃ  আকাশে উড়ল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘রাজহংস’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বিকেল ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনাল এলাকায় রাজহংসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন।

আরো পড়ুন :  ড. কালাম আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন শেখ হাসিনা

এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের সঙ্গে ক্রয়চুক্তির সব উড়োজাহাজই এখন রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যুক্ত হয়েছে। বিমানের কর্মকর্তারা জানান, এতে বিজনেস ক্লাস ২৪টি ও ইকোনমি আসন ২৪৭টি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দশটি ড্রিমলাইনারের নাম আমি দিয়েছি, যাতে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে সবাই পরিচিত হতে পারেন।’ পণ্য রফতানির জন্য দুটো কার্গো বিমান কেনা ও কার্গো ভিলেজ গড়ে তোলার কথাও বলেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে বোয়িংয়ের সঙ্গে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারে তিনটি মডেলের ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি করে বিমান সংস্থা। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ রয়েছে। ক্রয় আদেশ দেওয়ার পর একে একে এগুলো পেতে প্রায় ১১ বছর লেগেছে। সর্বশেষ গত শনিবার বিমানে যুক্ত হয়েছে ‘রাজহংস’।

উড়োজাহাজগুলোর অবশ্য আলাদা নামকরণও হয়েছে। উড়োজাহাজের নামকরণের ক্ষেত্রে প্রথমে বিমানের কর্মীদের কাছ থেকে নাম চাওয়া হয়। সেগুলোর প্রাথমিক তালিকা তৈরির পর চূড়ান্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর পছন্দে নাম রাখা হয়। এগুলো হলো পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত, ময়ূরপঙ্খি, আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, তিনটি মডেলের মধ্যে প্রথমেই ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজগুলো সরবরাহ শুরু করে বোয়িং। ২০০৮ সালে ক্রয় আদেশ দেওয়ার পর ২০১১ সালের ২১ অক্টোবর একটি ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ প্রথম বিমানবহরে যুক্ত হয়। এর নাম রাখা হয় ‘পালকি’। একই বছর ২৩ নভেম্বর বিমানকে আরেকটি ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ সরবরাহ করে বোয়িং।

এর নাম রাখা হয় ‘অরুণ আলো’। এরপর ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আরেকটি ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ সরবরাহ করে বোয়িং। এর নাম রাখা হয় ‘আকাশ প্রদীপ’। এই সিরিজের সবশেষ উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত হয় ২০১৮ সালের ২১ মার্চ। এর নাম রাখা হয় ‘রাঙা প্রভাত’।

এ ছাড়া চারটি ৭৭৭-৩০০ ইআর আকাশযান পাঠানো শেষে বিমানকে ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ সরবরাহ শুরু করে বোয়িং। ক্রয় আদেশ দেওয়া দুটি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজের প্রথমটি বিমানবহরে আসে ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর। এর নাম রাখা হয় ‘মেঘদূত’।

দ্বিতীয় বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ বিমানবহরে যুক্ত হয় একই বছরের ২২ ডিসেম্বর। এর নাম রাখা হয় ‘ময়ূরপঙ্খি’। ২০১৮ সালে ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার সরবরাহ শুরু করে বোয়িং। ওই বছরের ১৯ আগস্ট দেশে আসে প্রথম ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। এর নাম রাখা হয় ‘আকাশবীণা’।

একই বছরের ১ ডিসেম্বর ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে। এর নাম রাখা হয় ‘হংসবলাকা’। তৃতীয় ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার যুক্ত হয়েছে গত ২৫ জুলাই। এর নাম রাখা হয় ‘গাঙচিল’।