ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি, ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে মঙ্গলবার অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেলে এর কমপক্ষে ৪০ আরোহী নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় উপকূলীয় রক্ষী এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়j সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।

আরো পড়ুন :  জুলিয়ান ক্যালেফাটো টাইগারদের নতুন ফিজিও

লিবিয়ার উপকূলীয় রক্ষীদের মুখপাত্র আইয়ুব গাসিম বলেন, দুর্ঘটনার পর তারা এক শিশুসহ কমপক্ষে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে তিনজন মরক্কোর, একজন সুদানের এবং একজন সোমালিয়ার নাগরিক বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র শার্লি ইয়াক্সলে জানিয়েছেন, নৌকাডুবির পর ৬০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, স্থানীয় জেলে এবং লিবিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা মঙ্গলবার সকাল থেকেই উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া শরণার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই সুদানের নাগরিক। বাকিরা মিসর, মরোক্কো এবং তিউনিশিয়ার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

প্রসঙ্গত, উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা অঞ্চলের অনুন্নত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর লোকজন প্রায়ই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করে থাকে। তারা প্রথমে ইতালি আসে এবং পরে ইউরোপের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। নৌকায় করে বেপোরোয়াভাবে সাগর পাড়ি দেয়ার সময় অনেকের সলিল সমাধি হয়ে থাকে। জাতিসংঘের হিসাব মতে, ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতি ছয় বা সাতজনের মধ্যে একজনের প্রানহানি ঘটছে।তারপরও বন্ধ হচ্ছে না অসহায় ও দরিদ্র মানুষগুলোর ইউরোপ গমনের এই ভয়াবহ প্রচেষ্টা।

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি, ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা

আপডেট টাইম : ০২:০০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে মঙ্গলবার অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেলে এর কমপক্ষে ৪০ আরোহী নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় উপকূলীয় রক্ষী এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়j সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।

আরো পড়ুন :  জুলিয়ান ক্যালেফাটো টাইগারদের নতুন ফিজিও

লিবিয়ার উপকূলীয় রক্ষীদের মুখপাত্র আইয়ুব গাসিম বলেন, দুর্ঘটনার পর তারা এক শিশুসহ কমপক্ষে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে তিনজন মরক্কোর, একজন সুদানের এবং একজন সোমালিয়ার নাগরিক বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র শার্লি ইয়াক্সলে জানিয়েছেন, নৌকাডুবির পর ৬০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, স্থানীয় জেলে এবং লিবিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা মঙ্গলবার সকাল থেকেই উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া শরণার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই সুদানের নাগরিক। বাকিরা মিসর, মরোক্কো এবং তিউনিশিয়ার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

প্রসঙ্গত, উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা অঞ্চলের অনুন্নত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর লোকজন প্রায়ই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করে থাকে। তারা প্রথমে ইতালি আসে এবং পরে ইউরোপের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। নৌকায় করে বেপোরোয়াভাবে সাগর পাড়ি দেয়ার সময় অনেকের সলিল সমাধি হয়ে থাকে। জাতিসংঘের হিসাব মতে, ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতি ছয় বা সাতজনের মধ্যে একজনের প্রানহানি ঘটছে।তারপরও বন্ধ হচ্ছে না অসহায় ও দরিদ্র মানুষগুলোর ইউরোপ গমনের এই ভয়াবহ প্রচেষ্টা।