আলোর জগত ডেস্ক : ঈদকে সামনে রেখে তৃতীয় দিনের মতো রাজধানী ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ। কিন্তু বৈরি আবহাওয়া আর ট্রেন দেরিতে ছাড়ায় ঘরে ফেরা মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারপরে দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন মানুষ। সকাল থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। অতিরিক্ত চাপ সামলাতে গতকাল থেকে রেলে যুক্ত হয়েছে তিনটি বিশেষ ট্রেন।
আরো পড়ুন : গাইবান্ধায় ছিনিয়ে নেয়া সেই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
ট্রেনে করে যারা বাড়ি যাবেন তাদের অনেকে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই কমলাপুর স্টেশনে উপস্থিত হন। ভোর থেকে ঘরমুখো মানুষের পদচারণায় কমলাপুর স্টেশনে মুখরিত হয়ে উঠে। কিন্তু ট্রেনে দেরিতে আসায় ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে চাওয়া যাত্রীরা।
অধিকাংশ ট্রেন কমলাপুর ছাড়তে বিলম্ব হবে বলে স্টেশন থেকে জানা গেছে। এদিকে গতকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। আজও ঢাকার আকাশ মেঘলা আছে। ফলে বাড়ি ফেরা নিয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের।
জানা গেছে, রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ছয়টা। কিন্তু সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ট্রেনটি কমলাপুর পৌঁছায়নি। ১১টার পর এটি কমলাপুর এসে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কমলাপুরে আনুষাঙ্গিক প্রয়োজনীয়তা সেরে দুপুর ১২টার পর ট্রেনটি ছেড়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। ফলে যাত্রীদের দীর্ঘ ছয় ঘণ্টার মতো স্টেশনে অপেক্ষা করতে হবে।
শুধু ধূমকেতু এক্সপ্রেসই নয়, এদিন প্রায় সব ট্রেনই ছাড়তে বিলম্ব করছে। রংপুর এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী ট্রেনও শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার সময় সকাল ছয়টা ২০ মিনিট। কিন্তু ট্রেনটি সকাল পৌনে সাতটা পর্যন্ত কমলাপুর ছেড়ে যায়নি। ফলে ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষ স্টেশনে বসেই অপেক্ষার প্রহর গুণছেন। এতে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। স্টেশনে দীর্ঘ অপেক্ষায় অনেকে ক্লান্ত।
যাত্রীরা বলছেন, ট্রেনের বিলম্ব এখন স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। এর অবসান দরকার। এতে মানুষের দুর্ভোগ অনেক।
তবে রেল কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদযাত্রায় প্রচুর যাত্রীর চাপ থাকায় ট্রেনের গতি যেমন কম থাকে, তেমনি প্রতি স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামা করতে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি লাগছে। এজন্য মূলত শিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে গতি কম ও স্টেশনে যাত্রী বেশি থাকায় যাত্রী ওঠা-নামা করতে সময় বেশি লাগে। এজন্য কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। ট্রেনের যাত্রা যেন বিলম্বে না হয় সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।