ঢাকা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

ব্যারিস্টার সুমনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ : নুসরাতের মা

আলোর জগত ডেস্ক :  ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতার করায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে নুসরাত জাহান রাফির পরিবার। গতকাল রোববার তাকে গ্রেফতারের পর সাংবাদিকদের কাছে স্বস্তির কথা প্রকাশ করেন রাফির মা, ভাই ও বাবা। তার গ্রেফতারের খবরে নুসরাতের পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্যারিস্টার সুমনসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন : শিগগির নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ: ওবায়দুল কাদের

আরো পড়ুন : প্রতি উপজেলায় হবে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: দীপু মনি

আরো পড়ুন :  হজ এজেন্সির জন্য জরুরি বিজ্ঞপ্তি‌

শোকাহত মা শিরিন আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার মেয়ে হত্যার বিচারের দায়িত্ব নিয়েছেন। যার কারণেই এ মামলার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। ব্যারিস্টার সুমনের করা মামলায় ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেফতার হয়েছেন বলে তিনি সুমনকেও ধন্যবাদ জানান।

নুসরাতের মা বলেন, আমার মেয়ের হত্যাকে ওসি মোয়াজ্জেম আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছিল। তিনি ওসি মোয়াজ্জেমের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

গতকাল রোববার রাতে নুসরাতের বড় ভাই এবং নুসরাত হত্যা মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমান  বলেন, এই গ্রেফতারে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। এ গ্রেফতারের মাধ্যমে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কেননা তার হস্তক্ষেপের কারণেই মামলা এতটুকু অগ্রসর হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত গত ২৬ মার্চ তার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলে তাকে (নুসরাত) থানায় ডেকে জবানবন্দির নামে হয়রানি করে ভিডিও করেছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম। তার কয়েক দিনের মাথায় নুসরাতের গায়ে অগ্নিসংযোগ করা হলে সারাদেশে আলোচনা শুরু হয়।

তখন ওই জবানবন্দির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল নুসরাতের মৃত্যু হলে ১৫ এপ্রিল ওসি মোয়াজ্জেমকে আসামি করে ঢাকায় বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে ২৭ মে আদালত তার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

ব্যারিস্টার সুমনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ : নুসরাতের মা

আপডেট টাইম : ০২:০০:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :  ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতার করায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে নুসরাত জাহান রাফির পরিবার। গতকাল রোববার তাকে গ্রেফতারের পর সাংবাদিকদের কাছে স্বস্তির কথা প্রকাশ করেন রাফির মা, ভাই ও বাবা। তার গ্রেফতারের খবরে নুসরাতের পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্যারিস্টার সুমনসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন : শিগগির নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ: ওবায়দুল কাদের

আরো পড়ুন : প্রতি উপজেলায় হবে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: দীপু মনি

আরো পড়ুন :  হজ এজেন্সির জন্য জরুরি বিজ্ঞপ্তি‌

শোকাহত মা শিরিন আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার মেয়ে হত্যার বিচারের দায়িত্ব নিয়েছেন। যার কারণেই এ মামলার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। ব্যারিস্টার সুমনের করা মামলায় ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেফতার হয়েছেন বলে তিনি সুমনকেও ধন্যবাদ জানান।

নুসরাতের মা বলেন, আমার মেয়ের হত্যাকে ওসি মোয়াজ্জেম আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছিল। তিনি ওসি মোয়াজ্জেমের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

গতকাল রোববার রাতে নুসরাতের বড় ভাই এবং নুসরাত হত্যা মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমান  বলেন, এই গ্রেফতারে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। এ গ্রেফতারের মাধ্যমে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কেননা তার হস্তক্ষেপের কারণেই মামলা এতটুকু অগ্রসর হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত গত ২৬ মার্চ তার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলে তাকে (নুসরাত) থানায় ডেকে জবানবন্দির নামে হয়রানি করে ভিডিও করেছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম। তার কয়েক দিনের মাথায় নুসরাতের গায়ে অগ্নিসংযোগ করা হলে সারাদেশে আলোচনা শুরু হয়।

তখন ওই জবানবন্দির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল নুসরাতের মৃত্যু হলে ১৫ এপ্রিল ওসি মোয়াজ্জেমকে আসামি করে ঢাকায় বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে ২৭ মে আদালত তার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।