ঢাকা ০২:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :

রুমিনের বক্তব্যে আবার সংসদে উত্তাপ

আলোর জগত ডেস্ক :  রুমিন ফারহানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করায় এবং সংসদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করায় রোববার আবারো উত্তপ্ত হয়েছে সংসদ। ১০ মিনিটের বক্তৃতায় তিন দফায় বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

আরো পড়ুন :  অবৈধ সংসদে কেন এসেছেন: প্রশ্ন মতিয়ার

রুমিন ফারহানা বলেন, তিনি সংসদে কথা বলার জন্য দাঁড়ালেই সরকার দলীয় এমপিরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।

তিনি বলেন, আমি আমার দলের কথা বলব, তারা তাদের কথা বলবেন। কিন্তু আমি ওঠে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরো সংসদ যদি উত্তেজিত হয়ে যায়, যদি মারমুখী হয়ে যায় তাহলে আমি আমার বক্তব্য কীভাবে রাখব?

গতকাল রবিবার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় এভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ।

রুমিন বলেন, এই সংসদের কেউ কি বলতে পারবেন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত? কেউ বলতে পারবেন না।

এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি দলের সদস্যরা হৈ চৈ করতে থাকেন।

একপর্যায়ে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া তাকে থামিয়ে বলেন, আপনি বাজেটের বাইরে এমন কোনো কথা বলবেন না যাতে সংসদ উত্তপ্ত হয়।

ব্যারিস্টার রুমিন বলেন,এই সংসদে আসার আগে সংসদ নেতা বলেছিলেন, আমাদের কথা বলতে দেবেন। কিন্তু আমার প্রথম বক্তৃতার দুই মিনিটের এক মিনিটও শান্তিমতো কথা বলতে পারি নাই। একই ঘটনা আজকেও।

তার বক্তৃতা থামিয়ে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘এমন কথা বলবেন না যাতে বিরোধী পক্ষ উত্তেজিত হয়।’

পুনরায় বক্তব্য শুরু করে রুমিন বলেন, আমরা কথা বলতে পারছি না। আমরা কোন গণতন্ত্রের কথা বলছি? যে গণতন্ত্র কথা বলতে দেয় না, আমাদের কথা বলার সময় বাধা দেওয়া হয়? আমি আমার দলের কথা বলব, তারা তাদের দলের কথা বলবে। আমি দাঁড়াবার সঙ্গে সঙ্গে পুরো সংসদ যদি উত্তেজিত হয়ে যায়, তাহলে কীভাবে কথা বলব।

পুরো ১০ মিনিটের বক্তৃতায় কয়েক সেকেন্ড শুধু সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা করেন তিনি। সেই আলোচনায় তিনি বলেন, ২০১০-১১ অর্থ বছর থেকে এ পর্যন্ত বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে ৭৬ শতাংশ। সরকারের সক্ষমতা দিন দিন কমছে।

বক্তৃতার চার মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে আবারও বাধা দেওয়া হয় তাকে। এভাবেই তিনি তার ১০ মিনিটের বক্তৃতা শেষ করেন।

পরে ডেপুটি স্পিকার তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি বাজেটের বাইরে ও সংসদীয় ভাষার বাইরে যেসব কথা বলেছেন সেসব কথা সংসদীয় প্রসিডিউর থেকে এক্সপাঞ্জ করা হলো।

এর পর বিএনপির সবাই অধিবেশন থেকে বেরিয়ে যান। পরে অবশ্য আবার অধিবেশনে ফেরেন তারা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসার চেক হস্তান্ত, সাবেক এম পি নুরুল আমিন রুহুল

রুমিনের বক্তব্যে আবার সংসদে উত্তাপ

আপডেট টাইম : ০১:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :  রুমিন ফারহানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করায় এবং সংসদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করায় রোববার আবারো উত্তপ্ত হয়েছে সংসদ। ১০ মিনিটের বক্তৃতায় তিন দফায় বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

আরো পড়ুন :  অবৈধ সংসদে কেন এসেছেন: প্রশ্ন মতিয়ার

রুমিন ফারহানা বলেন, তিনি সংসদে কথা বলার জন্য দাঁড়ালেই সরকার দলীয় এমপিরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।

তিনি বলেন, আমি আমার দলের কথা বলব, তারা তাদের কথা বলবেন। কিন্তু আমি ওঠে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরো সংসদ যদি উত্তেজিত হয়ে যায়, যদি মারমুখী হয়ে যায় তাহলে আমি আমার বক্তব্য কীভাবে রাখব?

গতকাল রবিবার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় এভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ।

রুমিন বলেন, এই সংসদের কেউ কি বলতে পারবেন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত? কেউ বলতে পারবেন না।

এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি দলের সদস্যরা হৈ চৈ করতে থাকেন।

একপর্যায়ে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া তাকে থামিয়ে বলেন, আপনি বাজেটের বাইরে এমন কোনো কথা বলবেন না যাতে সংসদ উত্তপ্ত হয়।

ব্যারিস্টার রুমিন বলেন,এই সংসদে আসার আগে সংসদ নেতা বলেছিলেন, আমাদের কথা বলতে দেবেন। কিন্তু আমার প্রথম বক্তৃতার দুই মিনিটের এক মিনিটও শান্তিমতো কথা বলতে পারি নাই। একই ঘটনা আজকেও।

তার বক্তৃতা থামিয়ে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘এমন কথা বলবেন না যাতে বিরোধী পক্ষ উত্তেজিত হয়।’

পুনরায় বক্তব্য শুরু করে রুমিন বলেন, আমরা কথা বলতে পারছি না। আমরা কোন গণতন্ত্রের কথা বলছি? যে গণতন্ত্র কথা বলতে দেয় না, আমাদের কথা বলার সময় বাধা দেওয়া হয়? আমি আমার দলের কথা বলব, তারা তাদের দলের কথা বলবে। আমি দাঁড়াবার সঙ্গে সঙ্গে পুরো সংসদ যদি উত্তেজিত হয়ে যায়, তাহলে কীভাবে কথা বলব।

পুরো ১০ মিনিটের বক্তৃতায় কয়েক সেকেন্ড শুধু সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা করেন তিনি। সেই আলোচনায় তিনি বলেন, ২০১০-১১ অর্থ বছর থেকে এ পর্যন্ত বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে ৭৬ শতাংশ। সরকারের সক্ষমতা দিন দিন কমছে।

বক্তৃতার চার মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে আবারও বাধা দেওয়া হয় তাকে। এভাবেই তিনি তার ১০ মিনিটের বক্তৃতা শেষ করেন।

পরে ডেপুটি স্পিকার তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি বাজেটের বাইরে ও সংসদীয় ভাষার বাইরে যেসব কথা বলেছেন সেসব কথা সংসদীয় প্রসিডিউর থেকে এক্সপাঞ্জ করা হলো।

এর পর বিএনপির সবাই অধিবেশন থেকে বেরিয়ে যান। পরে অবশ্য আবার অধিবেশনে ফেরেন তারা।