ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫

বিচারপ্রার্থী যেন হয়রানির শিকার না হয়: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

আলোর জগত ডেস্ক:    আদালতে বিচার চাইতে গিয়ে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে বিচারপতিসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে রায় দিতে তাগিদ দিয়েছেন সরকারপ্রধান। আজ রবিবার সকালে জাতীয় আইনগত সহতায়তা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন :  এমপি জাহিদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

আরো পড়ুন :  রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

আরো পড়ুন  :  জায়ান চৌধুরীর কুলখানি সম্পন্ন

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে। দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব যেমন বিচারকদের, তেমনি আইন পেশার সঙ্গে জড়িতদেরও। তাই মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে রায় দেয়ার উপায় বের করার দায়িত্ব দুপক্ষেরই।

তিনি বলেন, দেশে এখন জমিসংক্রান্ত মামলার সংখ্যাই বেশি। এগুলো আপস-মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা গেলে মামলাজট কমবে।

গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ আদালতের ওপর ছেড়ে দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুন-ধর্ষণ ইত্যাদি আদালতের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। এতে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের সর্বস্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এমন একটি সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না এবং জনগণ মৌলিক অধিকারগুলো স্বচ্ছন্দে ভোগ করে নিজেরা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংগ্রাম আর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছি। গণতন্ত্র না থাকলে আইনের শাসন যেমন সুপ্রতিষ্ঠিত হয় না, তেমনি আইনের শাসন না থাকলে গণতন্ত্র টেকসই হয় না। আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচারব্যবস্থার বিকল্প নেই। প্রসঙ্গত ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসটি পালন করে আসছে সরকার। অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাই এর লক্ষ্য।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

বিচারপ্রার্থী যেন হয়রানির শিকার না হয়: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৩:৪৯:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক:    আদালতে বিচার চাইতে গিয়ে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে বিচারপতিসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে রায় দিতে তাগিদ দিয়েছেন সরকারপ্রধান। আজ রবিবার সকালে জাতীয় আইনগত সহতায়তা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন :  এমপি জাহিদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

আরো পড়ুন :  রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

আরো পড়ুন  :  জায়ান চৌধুরীর কুলখানি সম্পন্ন

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে। দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব যেমন বিচারকদের, তেমনি আইন পেশার সঙ্গে জড়িতদেরও। তাই মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে রায় দেয়ার উপায় বের করার দায়িত্ব দুপক্ষেরই।

তিনি বলেন, দেশে এখন জমিসংক্রান্ত মামলার সংখ্যাই বেশি। এগুলো আপস-মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা গেলে মামলাজট কমবে।

গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ আদালতের ওপর ছেড়ে দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুন-ধর্ষণ ইত্যাদি আদালতের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। এতে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের সর্বস্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এমন একটি সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না এবং জনগণ মৌলিক অধিকারগুলো স্বচ্ছন্দে ভোগ করে নিজেরা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংগ্রাম আর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছি। গণতন্ত্র না থাকলে আইনের শাসন যেমন সুপ্রতিষ্ঠিত হয় না, তেমনি আইনের শাসন না থাকলে গণতন্ত্র টেকসই হয় না। আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচারব্যবস্থার বিকল্প নেই। প্রসঙ্গত ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসটি পালন করে আসছে সরকার। অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাই এর লক্ষ্য।