ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নুসরাত হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী শরীফ আটক

ফাইল ছবি

আলোর জগত ডেস্ক :  ফেনীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মোহাম্মদ শরীফ নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।আজ বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফেনী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পিবিআই। এরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সিরাজের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ও মো. শামীম। মামলার এজহারভুক্ত আটজনের মধ্যে সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাফেজ আবদুল কাদের নামে এজহারভুক্ত আরও এক আসামিকে পলাতক।

এর আগে সোমবার রাতে নুসরাতের সহপাঠী বান্ধবী কামরুন্নাহার মনি ও মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে জান্নাতুল আফরোজকে আটক করে পিবিআিই।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের তিন তলায় যান। সেখানে মুখোশপরা ৪-৫ জন তাকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

গত ১০ এপ্রিল রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

নুসরাত হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী শরীফ আটক

আপডেট টাইম : ০৫:১০:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :  ফেনীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মোহাম্মদ শরীফ নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।আজ বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফেনী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পিবিআই। এরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সিরাজের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ও মো. শামীম। মামলার এজহারভুক্ত আটজনের মধ্যে সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাফেজ আবদুল কাদের নামে এজহারভুক্ত আরও এক আসামিকে পলাতক।

এর আগে সোমবার রাতে নুসরাতের সহপাঠী বান্ধবী কামরুন্নাহার মনি ও মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে জান্নাতুল আফরোজকে আটক করে পিবিআিই।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের তিন তলায় যান। সেখানে মুখোশপরা ৪-৫ জন তাকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

গত ১০ এপ্রিল রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।