নিজস্ব প্রতিবেদক : ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বাধীনতার এই রূপকারকে। এ সময় দলটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
ঘোষণাপত্রে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করা হয়। সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয় ঘোষণাপত্রে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় এবং দেশের সব জেলা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ১০টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সোয়া ১০টায় গার্ড অব অনার, সাড়ে ১০টায় মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের শেখ হাসিনা মঞ্চে মুজিবনগর দিবসের জনসভা।
আজ সকাল ৯টায় মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রে মন্ত্রী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাদের পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, স্কাউটস এবং স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা গার্ড অব অনার প্রদান ও কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করবেন। এরপরই আনসার ও ভিডিপি অধিদফতর গীতিনাট্য ‘বদলে যাও, বদলে দাও’ উপস্থাপন করবে। বিকাল ৫টায় মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রের মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।