আলোর জগত ডেস্ক : ফেনীর সোনাগাজীর দগ্ধ মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ করেছেন চিকিৎসকরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে কাজ শুরু হয়ে ১২টায় শেষ হয় ময়নাতদন্ত। তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ময়নাতদন্তে অংশ নেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসিরুদ্দিন জানান, নুসরাতের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। দগ্ধ হওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন।
নুসরাতের ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত বোর্ডের প্রধান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস ও প্রভাষক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস।
ময়নাতদন্ত শুরুর আগে ডা. প্রদীপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, সকালেই নুসরাতের মরদেহ মর্গে নেওয়া হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদন তাদের হাতে আসে। এরপর ময়নাতদন্ত শুরু করেন তারা।
এর আগে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়। বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. হোসাইন ইমাম জানান, দগ্ধ অবস্থায় নুসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তার শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে যায়। এছাড়া রক্ত ও লাং ইনফেকশনের কারণে কার্ডিও রেসপাইরেটরি ফেইলিয়র হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে নুসরাত আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় গেলে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। আগুনে পুড়ে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গতকাল বুধবার (১০ এপ্রিল) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।