আলোর জগত ডেস্ক : আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আইন ও আদলতকে সমুন্নত রাখার স্বার্থেই তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার। এখানে প্রতিহিংসার কোনো কারণ নেই। তারেক রহমান নিজেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার মনে করলে তার নিজেরই দেশে এসে আদালতে আত্মসমর্পণ করার কথা। তবে তার দুর্নীতি ও হত্যা মামলার অপরাধ এত সুষ্পষ্ট যে, তার সেই সৎসাহস নেই।
গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের প্রচার উপ-কমিটির সভা আগে প্রেস ব্রিফিংয়ে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি বা ফৌজদারি মামলায় কারো দন্ড হলে যেসব দেশের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি রয়েছে, সেসব দেশ থেকে পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি নেই বলে তারেক রহমানকে ফেরাতে সরকার সেদেশে চিঠি দিয়েছে। এখানে প্রতিহিংসার কোনো কারণ নেই।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও দলের অন্যতম মুখপাত্র বলেন, তারেক রহমানের দুর্নীতি বাংলাদেশ সরকার উদঘাটন করেনি, করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই। আর একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তার অপরাধ সাক্ষ্য-প্রমাণে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। বিএনপি’রই উচিত ছিল তাকে বাদ দেওয়া। কিন্তু তা না করে তারা একজন দুর্নীতি ও ফৌজদারী হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে রাজনৈতিক সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে।
দুর্নীতি বা ফৌজদারী মামলায় দণ্ড হলে যেসব দেশের সঙ্গে চুক্তি আছে, সেখান থেকে আসামিদের ফিরিয়ে আনা হয়, কিন্তু যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তি নেই বলে সরকার সেদেশে চিঠি দিয়েছে’ ব্যাখ্যা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখানে প্রতিহিংসার কোনো কারণ নেই, আইন ও আদলতকে সমুন্নত রাখার স্বার্থেই তা করা হয়েছে।