ঢাকা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

দেশে শান্তি ফিরিয়েছি, উন্নয়নের জোয়ার লেগেছে: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

আলোর জগত ডেস্ক :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে শান্তি ফিরিয়েছি, উন্নয়নের জোয়ার লেগেছে। পরিকল্পিত কাজ করে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছি। সেই আস্থা আর বিশ্বাস থেকেই আওয়ামী লীগ এবারো সরকার গঠন করেছে। তিনি বলেন, জনগণ উন্নয়ন চায়। শান্তি চায়। সুন্দরভাবে বাঁচতে চায়। আমরা দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। তাতে আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা আর বিশ্বাস অর্জন করেছে। এজন্যই আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়। খবর বাসস।

গতকাল বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার আগে দেশে ছিল অর্থনৈতিক মন্দা। দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। এদের অপকর্মে দেশেটি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছিল। শান্তিতে চলাফেরা করতে পারত না মানুষ। চুরি-ডাকাতি বা সন্ত্রাসবাদ এমনকি মাদকের বিস্তার ছিল দেশে। আয়ের তুলনায় মানুষের ব্যয় ছিল বেশি। যে কারণে দেশের মানুষ তাদের ক্ষমতাচ্যুত করেছে। তাদের হাতে ক্ষমতা দেয়া হলে দেশ লুট করে খাবে, এটা বুঝতে পেরেছে জনগণ।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমাদের পরিচালনায় দেশে শান্তি ফিরেছে। মানুষ নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে। ক্রমবর্ধমান উন্নয়নশীল দেশের শীর্ষ পাঁচে থেকে আমরা কথা বলছি। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে এখন। প্রবৃদ্ধিতে অনেক দেশ ছাড়িয়ে গেছি। আগামীতে ৮-এর বেশি প্রবৃদ্ধি হবে আমাদের। সেভাবেই আমরা পরিচালনা করছি।

আওয়ামী লীগপ্রধান বলেন, বিএনপির আমলে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতনে বাড়িঘরে থাকতে পারেননি নেতাকর্মীরা। এমনকি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। আমাদের নগদ টাকাসহ অনেক সম্পদ লুট করে নিয়ে গিয়েছিল বিএনপি। মিথ্যা মামলায় আমাদের জর্জরিত করতে চেয়েছিল। আমাদের দলীয় কার্যক্রমের কোনো সুযোগই ছিল না। কিন্তু আমরা বিএনপির নামে কোনো মিথ্যা মামলা দিচ্ছি না। খালেদা জিয়ার মামলা আমরা করিনি। এতিমের টাকা খেয়ে পার পেয়ে যেতে পারেননি, তাদেরই লোকের দেয়া মামলায় তিনি জেলে।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন করতে আসেনি। তারা বাণিজ্যক্ষেত্র বানিয়েছিল। টাকা খেয়ে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় আগ্রহ ছিল না তাদের। নির্বাচন উপলক্ষে বাণিজ্য করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির। যা জনগণ মেনে নিতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন জরিপ বলেছিল, আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসছে। আমাদেরও বিশ্বাস ছিল জনগণ আমাদের বারবার চায়। সে বিশ্বাস আমরা বাস্তবে দেখেছি। নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ২০০৮-এর নির্বাচনেও কোনো প্রশ্ন ছিল না। এছাড়া জনগণের সেবা করতেই আমরা নির্বাচন করি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্র কেন সিকিউরিটি অ্যালার্ট দিয়েছে তার কোনো কারণ দেশটির পক্ষ থেকে সরকার বা গোয়েন্দা সংস্থাকে বলা হয়নি। বাংলাদেশ সরকারকে অ্যালার্টের কারণ জানানো যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ দেখলাম আমেরিকা একটা সিকিউরিটি অ্যালার্ট দিয়েছে। কী কারণে তারা অ্যালার্টটা দিল তারা সেটা কিন্তু আমাদের কাছে বলেওনি, ব্যাখ্যাও দেয়নি। তাদের কাছে যদি কোনো তথ্য থাকে, তবে তাদের কর্তব্য আমাদের জানানো।

যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি অ্যালার্টের কারণ জানতে গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি এরই মধ্যে নির্দেশ দিয়েছি গোয়েন্দাদের যে কী কারণে অ্যালার্ট দেয়া হয়েছে, তাদের কাছে কোনো তথ্য আছে কিনা।

বাংলাদেশে পরপর কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ আগুন লেগেছে, আগুন তো সব দেশেই লাগে। আমেরিকায়ও সারকারখানা থেকে শুরু করে হাসপাতালে আগুন লেগে অনেক লোক মারা গেছে। এ রকম বহু ঘটনা ঘটেছে।

বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস একটা সমস্যা। এই সন্ত্রাস শুধু আমাদের দেশের না, সারা বিশ্বের সমস্যা। কিন্তু বাংলাদেশ অন্তত সফলতার সঙ্গে এই জঙ্গিবাদ দমন করতে পেরেছে।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফসহ প্রায় সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

দেশে শান্তি ফিরিয়েছি, উন্নয়নের জোয়ার লেগেছে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৫:৪৯:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে শান্তি ফিরিয়েছি, উন্নয়নের জোয়ার লেগেছে। পরিকল্পিত কাজ করে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছি। সেই আস্থা আর বিশ্বাস থেকেই আওয়ামী লীগ এবারো সরকার গঠন করেছে। তিনি বলেন, জনগণ উন্নয়ন চায়। শান্তি চায়। সুন্দরভাবে বাঁচতে চায়। আমরা দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। তাতে আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা আর বিশ্বাস অর্জন করেছে। এজন্যই আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়। খবর বাসস।

গতকাল বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার আগে দেশে ছিল অর্থনৈতিক মন্দা। দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। এদের অপকর্মে দেশেটি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছিল। শান্তিতে চলাফেরা করতে পারত না মানুষ। চুরি-ডাকাতি বা সন্ত্রাসবাদ এমনকি মাদকের বিস্তার ছিল দেশে। আয়ের তুলনায় মানুষের ব্যয় ছিল বেশি। যে কারণে দেশের মানুষ তাদের ক্ষমতাচ্যুত করেছে। তাদের হাতে ক্ষমতা দেয়া হলে দেশ লুট করে খাবে, এটা বুঝতে পেরেছে জনগণ।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমাদের পরিচালনায় দেশে শান্তি ফিরেছে। মানুষ নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে। ক্রমবর্ধমান উন্নয়নশীল দেশের শীর্ষ পাঁচে থেকে আমরা কথা বলছি। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে এখন। প্রবৃদ্ধিতে অনেক দেশ ছাড়িয়ে গেছি। আগামীতে ৮-এর বেশি প্রবৃদ্ধি হবে আমাদের। সেভাবেই আমরা পরিচালনা করছি।

আওয়ামী লীগপ্রধান বলেন, বিএনপির আমলে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতনে বাড়িঘরে থাকতে পারেননি নেতাকর্মীরা। এমনকি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। আমাদের নগদ টাকাসহ অনেক সম্পদ লুট করে নিয়ে গিয়েছিল বিএনপি। মিথ্যা মামলায় আমাদের জর্জরিত করতে চেয়েছিল। আমাদের দলীয় কার্যক্রমের কোনো সুযোগই ছিল না। কিন্তু আমরা বিএনপির নামে কোনো মিথ্যা মামলা দিচ্ছি না। খালেদা জিয়ার মামলা আমরা করিনি। এতিমের টাকা খেয়ে পার পেয়ে যেতে পারেননি, তাদেরই লোকের দেয়া মামলায় তিনি জেলে।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন করতে আসেনি। তারা বাণিজ্যক্ষেত্র বানিয়েছিল। টাকা খেয়ে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় আগ্রহ ছিল না তাদের। নির্বাচন উপলক্ষে বাণিজ্য করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির। যা জনগণ মেনে নিতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন জরিপ বলেছিল, আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসছে। আমাদেরও বিশ্বাস ছিল জনগণ আমাদের বারবার চায়। সে বিশ্বাস আমরা বাস্তবে দেখেছি। নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ২০০৮-এর নির্বাচনেও কোনো প্রশ্ন ছিল না। এছাড়া জনগণের সেবা করতেই আমরা নির্বাচন করি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্র কেন সিকিউরিটি অ্যালার্ট দিয়েছে তার কোনো কারণ দেশটির পক্ষ থেকে সরকার বা গোয়েন্দা সংস্থাকে বলা হয়নি। বাংলাদেশ সরকারকে অ্যালার্টের কারণ জানানো যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ দেখলাম আমেরিকা একটা সিকিউরিটি অ্যালার্ট দিয়েছে। কী কারণে তারা অ্যালার্টটা দিল তারা সেটা কিন্তু আমাদের কাছে বলেওনি, ব্যাখ্যাও দেয়নি। তাদের কাছে যদি কোনো তথ্য থাকে, তবে তাদের কর্তব্য আমাদের জানানো।

যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি অ্যালার্টের কারণ জানতে গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি এরই মধ্যে নির্দেশ দিয়েছি গোয়েন্দাদের যে কী কারণে অ্যালার্ট দেয়া হয়েছে, তাদের কাছে কোনো তথ্য আছে কিনা।

বাংলাদেশে পরপর কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ আগুন লেগেছে, আগুন তো সব দেশেই লাগে। আমেরিকায়ও সারকারখানা থেকে শুরু করে হাসপাতালে আগুন লেগে অনেক লোক মারা গেছে। এ রকম বহু ঘটনা ঘটেছে।

বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস একটা সমস্যা। এই সন্ত্রাস শুধু আমাদের দেশের না, সারা বিশ্বের সমস্যা। কিন্তু বাংলাদেশ অন্তত সফলতার সঙ্গে এই জঙ্গিবাদ দমন করতে পেরেছে।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফসহ প্রায় সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।