আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রচারাভিযানে নতুন চমক আনতে ১৪০ কিলোমিটার নৌযাত্রা শুরু করলেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। গতকাল সোমবার ভারতের প্রয়াগরাজ শহরের মানাইয়া ঘাট থেকে তিন দিনের নৌযাত্রা শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা।
এই নৌযাত্রার জন্য গত রোববার রাতেই প্রয়াগরাজের ইন্দিরা স্মৃতিবিজড়িত স্বরাজ ভবনে ওঠেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেখানেই রাত কাটান তিনি।
গতকাল সকালে প্রিয়াঙ্কা টুইট করেন, স্বরাজ ভবনে বসে ঠাকুরমার (ইন্দিরা গান্ধী) কক্ষটি দেখেছি।’ এ কক্ষেই তাঁর জন্ম হয়। এর পরেই স্মৃতি রোমন্থন করে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, কত রাত জোন অব আর্কের গল্প শুনিয়ে ঠাকুরমা আমাকে ঘুম পাড়িয়েছেন। এখনো যেন সেই সুর আমার অন্তরে বাজছে। প্রিয়াঙ্কা আরো লেখেন, ‘ঠাকুরমা আমাকে বলতেন, ভয় পেয়ো না। একদিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
গতকাল শুরু করা নৌযাত্রায় একাধিক জায়গায় গিয়ে থামবেন প্রিয়াঙ্কা। গঙ্গার ধারে বাস করেন এমন মানুষদের সঙ্গে কথা বলে লোকসভা নির্বাচনে সমর্থন চাইবেন তিনি।
গতকাল নৌপথে প্রিয়াঙ্কার যাত্রা শুরুর পর তাঁর জলযান যত এগোতে থাকে, ততই নদীর ধারে মানুষের ভিড় বাড়তে দেখা যায়। ভিড়ের মধ্যেই নৌকা থামিয়ে গঙ্গার আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা। জানতে চান, তাঁরা কেমন আছেন?
গতকাল নৌযাত্রার আগে দিনের শুরুতেই প্রয়াগরাজে হনুমান মন্দিরে পূজা করতে যান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
পূজা শেষে প্রিয়াঙ্কা বলেন, মা গঙ্গা উদার।
এই নৌযাত্রার আগে এক খোলা চিঠিতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক লেখেন, গঙ্গা নদী সত্য ও সাম্যের প্রতীক। এই নদী ভারতের সংস্কৃতির পরিচায়কও বটে। এই গঙ্গা নদী মানুষে মানুষে বিভাজনের বার্তা দেয় না। গঙ্গা উত্তর প্রদেশের মানুষের বেঁচে থাকার রসদ। সেই গঙ্গা হয়েই আমি সবার কাছে পৌঁছে যাব।
যাত্রা শুরুর পর একে একে দমদমা ঘাট, সিরসা ঘাট, লক্ষ্মগ্রহ ঘাট এবং বিকেলে ভদোহী ঘাটে থামেন তিনি। প্রিয়াঙ্কার এই নদীপথের প্রচারাভিযান শেষ হবে বারাণসী ঘাটে গিয়ে। মূলত লোকসভা ভোটে প্রচারের নতুন চমক আনতেই প্রিয়াঙ্কার এই নৌযাত্রা।