ঢাকা ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

সালমান শাহ হত্যা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ২৩ এপ্রিল

ফাইল ছবি

বিনোদন ডেস্ক :  চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ইমন ওরফে সালমান শাহ হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে নতুন এই তারিখ ধার্য করেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইস্কাটনের নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তার মৃতদেহ। সালমান শাহর পরিবার শুরু থেকেই বিষয়টিকে হত্যা বলে অভিযোগ করে আসছে। স্ত্রীর পরকীয়ার জন্যই সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর।

ঢাকাই চলচ্চিত্রে সালমান শাহর ছিল আকাশছোঁয়া তারকাখ্যাতি। নব্বই দশকে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি অনেকটাই সালমাননির্ভর হয়ে পড়েছিল। চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ মারা যাওয়ার দুই দশক পরও এর রহস্য উদঘাটন হয়নি।

সে সময়ে এই ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করার আবেদন জানান তিনি।

প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করা হলেও পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। পরে র‌্যাবের হাত ঘুরে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। প্রায়ত এই নায়কের মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। এই প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।

এরপর সিআইডির এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে সালমান শাহের

বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। এরপর প্রায় দীর্ঘ ১২ বছর মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল। দীর্ঘদিন বাদীর পক্ষে আদালতে সাক্ষী হাজির না করায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল বিলম্বিত হয়।

সর্বশেষ গত বছরের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

পরবর্তীতে সালমান শাহের বাবার মৃত্যুর পরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দাখিল করেছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

সালমান শাহ হত্যা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ২৩ এপ্রিল

আপডেট টাইম : ০২:১৫:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০১৯

বিনোদন ডেস্ক :  চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ইমন ওরফে সালমান শাহ হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে নতুন এই তারিখ ধার্য করেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইস্কাটনের নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তার মৃতদেহ। সালমান শাহর পরিবার শুরু থেকেই বিষয়টিকে হত্যা বলে অভিযোগ করে আসছে। স্ত্রীর পরকীয়ার জন্যই সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর।

ঢাকাই চলচ্চিত্রে সালমান শাহর ছিল আকাশছোঁয়া তারকাখ্যাতি। নব্বই দশকে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি অনেকটাই সালমাননির্ভর হয়ে পড়েছিল। চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ মারা যাওয়ার দুই দশক পরও এর রহস্য উদঘাটন হয়নি।

সে সময়ে এই ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করার আবেদন জানান তিনি।

প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করা হলেও পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। পরে র‌্যাবের হাত ঘুরে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। প্রায়ত এই নায়কের মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। এই প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।

এরপর সিআইডির এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে সালমান শাহের

বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। এরপর প্রায় দীর্ঘ ১২ বছর মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল। দীর্ঘদিন বাদীর পক্ষে আদালতে সাক্ষী হাজির না করায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল বিলম্বিত হয়।

সর্বশেষ গত বছরের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

পরবর্তীতে সালমান শাহের বাবার মৃত্যুর পরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দাখিল করেছিলেন।