ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

১২ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে দেশের সব সিনেমা হল

বিনোদন ডেস্ক :   আগামী ১২ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে দেশের সব সিনেমা হল। গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এমন সিদ্ধান্তই জানালেন প্রদর্শক সমিতির নেতারা।

সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, সরকারের সুদৃষ্টি ও আমাদের দাবিগুলো না মানা হলে ১ মাস পর অর্থাৎ আগামী ১২ এপ্রিল থেকে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সিনেমা হল চালানোর মত দেশে পর্যাপ্ত চলচ্চিত্র হচ্ছে না। যাও হচ্ছে তাতে মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় দর্শকরা সিনেমা দেখছে না। লোকসান গুণতে গুণতে হতাশ প্রযোজকেরা। অন্যদিকে আয় নিয়ে সন্তুষ্ট নন প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা। এছাড়া দেশের বাইরের ছবি প্রদর্শনেও রয়েছে কঠোর নিয়ম। তারপরও তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে নানাবিধ শর্ত আর নিয়মকানুন। এভাবে বেশি দিন চলতে পারে না। লোকসান গুণতে গুণতে পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে।

চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির পক্ষে লিখিত বিবৃতিতে বলেন, দেশের চলচ্চিত্রের দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার উপায় নিয়ে আমরা তথ্যমন্ত্রী ও তথ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা কেউই প্রেক্ষাগৃহ বাঁচানো কিংবা দেশীয় সিনেমা নির্মাণ বাড়ানোর ব্যাপারে এবং উপমহাদেশীয় ছবি আমদানির বাধা নিরসনে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেননি। দেশের প্রেক্ষাগৃহ ১ হাজার ২৩৫ থেকে নেমে এখন ১৭৪-এ দাঁড়িয়েছে। সিনেমা নির্মাণও বছরে এখন ৩৫ থেকে ৪০ টির মতো। এত কিছুর পরও পরিচালক এবং শিল্পীরা তাদের আয় বন্ধ হয়ে যাবে, এই অজুহাতে উপমহাদেশীয় ছবি আমদানির বিরোধিতা করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, যখন থেকে আমরা উপমহাদেশীয় ছবি আমদানির দাবি করে আসছি, তখন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করতে বলা হচ্ছে, ভালো পরিচালক আসছেন। আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তার উদাহরণ কি সিনেমা হলের সংখ্যা কমে ১৭৪ হওয়া? গত বছর দেশীয় ছবির নির্মাণ সংখ্যা ৩৫–এ নেমে আসা?

তিনি আরও বলেন, উচ্চহারের বিদ্যুৎ বিল, শ্রমিক কর্মচারীর বেতনসহ অন্যান্য খরচের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকায় প্রতিটি সিনেমা হল মালিকদের লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সহসভাপতি আমির হামজা, সাধারণ সম্পাদক কাজী শোয়েব রশীদ, জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, কার্যনির্বাহী সদস্য আলমগীর শিকদার লোটন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সাফটা চুক্তির আওতায় মধুমিতা মুভিজের ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ গত বছর ৩ ডিসেম্বর সর্বশেষ আমদানি করেন জয়া আহসান অভিনীত কলকাতার ছবি ‘বিসর্জন’। পশ্চিমবঙ্গে প্রশংসিত হলেও ছবিটি বাংলাদেশে মুখ থুবড়ে পড়ে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

১২ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে দেশের সব সিনেমা হল

আপডেট টাইম : ০২:৪৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০১৯

বিনোদন ডেস্ক :   আগামী ১২ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে দেশের সব সিনেমা হল। গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এমন সিদ্ধান্তই জানালেন প্রদর্শক সমিতির নেতারা।

সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, সরকারের সুদৃষ্টি ও আমাদের দাবিগুলো না মানা হলে ১ মাস পর অর্থাৎ আগামী ১২ এপ্রিল থেকে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সিনেমা হল চালানোর মত দেশে পর্যাপ্ত চলচ্চিত্র হচ্ছে না। যাও হচ্ছে তাতে মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় দর্শকরা সিনেমা দেখছে না। লোকসান গুণতে গুণতে হতাশ প্রযোজকেরা। অন্যদিকে আয় নিয়ে সন্তুষ্ট নন প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা। এছাড়া দেশের বাইরের ছবি প্রদর্শনেও রয়েছে কঠোর নিয়ম। তারপরও তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে নানাবিধ শর্ত আর নিয়মকানুন। এভাবে বেশি দিন চলতে পারে না। লোকসান গুণতে গুণতে পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে।

চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির পক্ষে লিখিত বিবৃতিতে বলেন, দেশের চলচ্চিত্রের দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার উপায় নিয়ে আমরা তথ্যমন্ত্রী ও তথ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা কেউই প্রেক্ষাগৃহ বাঁচানো কিংবা দেশীয় সিনেমা নির্মাণ বাড়ানোর ব্যাপারে এবং উপমহাদেশীয় ছবি আমদানির বাধা নিরসনে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেননি। দেশের প্রেক্ষাগৃহ ১ হাজার ২৩৫ থেকে নেমে এখন ১৭৪-এ দাঁড়িয়েছে। সিনেমা নির্মাণও বছরে এখন ৩৫ থেকে ৪০ টির মতো। এত কিছুর পরও পরিচালক এবং শিল্পীরা তাদের আয় বন্ধ হয়ে যাবে, এই অজুহাতে উপমহাদেশীয় ছবি আমদানির বিরোধিতা করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, যখন থেকে আমরা উপমহাদেশীয় ছবি আমদানির দাবি করে আসছি, তখন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করতে বলা হচ্ছে, ভালো পরিচালক আসছেন। আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তার উদাহরণ কি সিনেমা হলের সংখ্যা কমে ১৭৪ হওয়া? গত বছর দেশীয় ছবির নির্মাণ সংখ্যা ৩৫–এ নেমে আসা?

তিনি আরও বলেন, উচ্চহারের বিদ্যুৎ বিল, শ্রমিক কর্মচারীর বেতনসহ অন্যান্য খরচের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকায় প্রতিটি সিনেমা হল মালিকদের লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সহসভাপতি আমির হামজা, সাধারণ সম্পাদক কাজী শোয়েব রশীদ, জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, কার্যনির্বাহী সদস্য আলমগীর শিকদার লোটন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সাফটা চুক্তির আওতায় মধুমিতা মুভিজের ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ গত বছর ৩ ডিসেম্বর সর্বশেষ আমদানি করেন জয়া আহসান অভিনীত কলকাতার ছবি ‘বিসর্জন’। পশ্চিমবঙ্গে প্রশংসিত হলেও ছবিটি বাংলাদেশে মুখ থুবড়ে পড়ে।